ইসরাইল ও বাংলাদেশ সম্পর্ক

বাংলাদেশ এবং ইসরায়েলের মাঝে কোন ধরনের কূটনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক নেই।

বাংলাদেশ ইসরায়েলকে নৈতিক রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকার করে না এবং বাংলাদেশী নাগরিকদের ইসরায়েলে ভ্রমণে সরকারী নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বাংলাদেশের পাসপোর্ট ইসরায়েল ব্যতীত বিশ্বের সকল দেশ ভ্রমণের জন্য বৈধ। ২০০৩ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশী সাংবাদিক সালেহ চৌধুরীকে ইসরায়েলে প্রবেশের চেষ্টার দায়ে ৭ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ একটি সার্বভৌম প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র সমর্থন করে এবং ইসরায়েলের “অবৈধভাবে প্যালেস্টাইন দখলের” সমাপ্তি দাবি করে।

বাংলাদেশ পৃথিবীর একমাত্র রাষ্ট্র যেটি ইসরায়েলের সাথে সকল প্রকার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ বাণিজ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, যদিও উভয়ই বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সদস্য রাষ্ট্র ২০১৪ সালের এক জরীপে প্রকাশিত তথ্য থেকে দেখা যায়, কোন ধরনের কূটনৈতিক বা বাণিজ্যিক সম্পর্ক না থাকা সত্ত্বেও ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ২৫৭৭ ডলার মূল্যমানের পণ্যসামগ্রী ইসরায়েলে রপ্তানি করা হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পরবর্তী সময়ে যেসব রাষ্ট্র বাংলাদেশকে সর্বপ্রথম স্বীকৃতি দেয়, ইসরায়েল তাদের মধ্যে অন্যতম। আরব দেশসমূহ স্বীকৃতি দেয়ার আগেই ইসরায়েল বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে। ইসরায়েল সরকার এবং ইসরায়েলী নাগরিক সকলেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশকে সমর্থন করেছিলো। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে নতুন স্বাধীনতা লাভকারী বাংলাদেশকে ইসরায়েল আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি প্রধান করে, যা বাংলাদেশ সরকার নিরপেক্ষভাবে প্রত্যাখ্যান করে।

Add a Comment