সাঁওতাল

বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ উপজাতিক গোষ্ঠী হল সাঁওতাল। পূর্বভারত ও বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আদিবাসী নৃগোষ্ঠীগুলির একটি । এরা নিজেদেরকে কৃষ্ণদ্বৈপায়ণ রচিত মহাভারতে বর্ণিত কুরু-পাণ্ডবদের অস্ত্রগুরু দ্রোণাচার্যের প্রত্যাখ্যিত-ভাবশিষ্য একলব্যের বংশধর ব’লে বিশ্বাস করে এবং তীরচালনাকালে এখনও নিজেদের বৃদ্ধাঙ্গুল ব্যবহার করে না কারণ তাদের আদিপুরুষ একলব্যকে গুরুদক্ষিণাস্বরূপ নিজের বৃদ্ধাঙ্গুল দান করেছিলেন (মহাভারত দ্রষ্টব্য)।

বাসস্থানঃ দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া, রাজশাহী (দিনা র ব র একজন সাঁওতাল)

বার্ষিক উৎসবঃ সোহরাই
এদের একাটি জনপ্রিয় উৎসবের নাম দাসাই।

ভাষাঃ সাঁওতালী
সাঁতালী ভাষায় বিধবাদের বলা হয় ‘বাণ্ডি’
সাঁওতালরা সাতটি গোত্রে বিভক্ত । সাঁওতালী ভাষায় এ গোত্র গুলো ‘পারিস‘ নামে অভিহিত ।

সাঁওতালী ভাষায় দেবতাকে বলে ‘বোংগা‘ বলে। এদের প্রধান দেবতা হচ্ছে সূর্য। পাহাড়ের দেবতাকে বলে ‘মারাংমুরো’। সাঁওতালদেও গৃহদেবতার নাম ‘বোঞ্চার’।

সাঁওতাল বিদ্রোহ

৩০শে জুন সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস। আজ থেকে প্রায় ১৫০ বছর আগের কথা । সেদিনটি ছিল ৩০শে জুন ১৮৫৫ খ্রীষ্টাব্দে সাঁওতাল বিদ্রোহ হয়েছিল, তাই ৩০শে জুন সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস হিসাবে পালিত হয়। সিধু মাঝি বা সিধু মুর্মু (? – ১৮৫৬) ও কানু মাঝি বা কানু মুর্মু (১৮২০ – ১৮৫৬) ছিলেন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রথম দিকের সাঁওতাল বিদ্রোহের দুজন সর্বশ্রেষ্ঠ নেতা।

Add a Comment