সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা(১/৪)

Vision and Mission

প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিতকরণ, গড়ে ৭ দশমিক ৪ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা করা হয়েছে।

কর্মসংস্থান সৃষ্টি: এতে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবং জনগণের আয় বণ্টন ব্যবস্থা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জনের ওপর সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। একইসঙ্গে সর্বাধিক কর্মক্ষম জনসংখ্যাকে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে বর্তমান ও ভবিষ্যতের জন্য দক্ষ করে গড়ে তোলা। এবারের পাঁচ বছরে ১ কোটি ২৯ লাখ কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে
দারিদ্র্য নিরসন দারিদ্র্যের হার বর্তমানের ২৪ দশমিক ৮ ভাগ থেকে কমিয়ে ১৮.৬ ভাগে হ্রাস করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা করা হয়েছে।

দেশী ও বিদেশী বিনিয়োগে গতিশীলতা আনা। সভায় আরও জানানো হয়, ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রসারের মাধ্যমে মূলধন ও শ্রমের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, রফতানিমুখী বাণিজ্য ও ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিতকরণ এবং সবুজ প্রবৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে একটি টেকসই, সমৃদ্ধ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং জলবায়ুসহিষ্ণু ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ে তোলা হচ্ছে এ পরিকল্পনার উদ্দেশ্য। মোট বিনিয়োগের ৭৭.৩ ভাগ আসবে বেসরকারি খাত থেকে। বাকি ২২.৭ ভাগ আসবে সরকারি খাত থেকে। মোট বিনিয়োগের ৯০.৪ ভাগ অভ্যন্তরীণ সম্পদ এবং বাকি ৯.৬ ভাগ বৈদেশিক উৎস থেকে সংগ্রহ করা হবে।

রফতানি আয় ৩০.৭ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০২০ সালে ৫৪.১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীতকরণের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। সামাজিক সুরক্ষা খাতে ব্যয় মোট দেশজ উৎপাদন জিডিপির ২.০২ ভাগ থেকে বাড়িয়ে ২০২০ সালে জিডিপির ২.৩০ ভাগে উন্নীত করা হবে। গবেষণা কার্যক্রম এবারই প্রথম গবেষণা কার্যক্রমকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে এ খাতে জিডিপির ০.৬ ভাগ থেকে বাড়িয়ে ১ ভাগে উন্নীত করা হবে। জানা গেছে, মূল্যস্ফীতি ২০২০ সালে ৫.৫ ভাগে কমিয়ে আনতে হবে। এজন্য ২০২০ সাল নাগাদ রাজস্ব ও জিডিপির অনুপাত আজকের ১০.৮ ভাগ থেকে বাড়িয়ে ১৬.১ ভাগে উন্নীত করতে হবে।

Add a Comment