সংবিধানের প্রস্তাবনা

বাংলাদেশের সংবিধান শুরু হয়েছে একটি প্রস্তাবনা(Preamble)দিয়ে। প্রস্তাবনার উপরে লেখা ‘বিস্‌মিল্লাহির-রহ্‌মানির রহিম’।
প্রস্তাবনার মূলকথাঃ

  • ১৯৭১ খ্রীষ্টাব্দের মার্চ মাসের ২৬ তারিখে স্বাধীনতা ঘোষণা করিয়া গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা।
  • জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্ম নিরপেক্ষতা এই সংবিধানের মূলনীতি হিসাবে গৃহীত হবে।
  • শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার।
  • সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত করার অঙ্গীকার।
  • আন্তর্জাতিক শান্তি ও সহযোগিতার ক্ষেত্রে পূর্ণ ভূমিকা পালনের ঘোষণা।

বিস্‌মিল্লাহির-রহ্‌মানির রহিম
(দয়াময়, পরম দয়ালু, আল্লাহের নামে)/
পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তার নামে।

প্রস্তাবনা

আমরা, বাংলাদেশের জনগণ, ১৯৭১ খ্রীষ্টাব্দের মার্চ মাসের ২৬ তারিখে স্বাধীনতা ঘোষণা করিয়া জাতীয় মুক্তির জন্য ঐতিহাসিক সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীন ও সার্বভৌম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করিয়াছি;

আমরা অঙ্গীকার করিতেছি যে, যে সকল মহান আদর্শ আমাদের বীর জনগণকে জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে আত্মনিয়োগ ও বীর শহীদদিগকে প্রাণোৎসর্গ করিতে উদ্বুদ্ধ করিয়াছিল -জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার সেই সকল আদর্শ এই সংবিধানের মূলনীতি হইবে ;

আমরা আরও অঙ্গীকার করিতেছি যে, আমাদের রাষ্ট্রের অন্যতম মূল লক্ষ্য হইবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এমন এক শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা- যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হইবে;

আমরা দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করিতেছি যে, আমরা যাহাতে স্বাধীন সত্তায় সমৃদ্ধি লাভ করিতে পারি এবং মানবজাতির প্রগতিশীল আশা-আকাঙ্খার সহিত সঙ্গতি রক্ষা করিয়া আন্তর্জাতিক শান্তি ও সহযোগিতার ক্ষেত্রে পূর্ণ ভূমিকা পালন করিতে পারি, সেইজন্য বাংলাদেশের জনগণের অভিপ্রায়ের অভিব্যক্তিস্বরূপ এই সংবিধানের প্রাধান্য অক্ষুণ্ন রাখা এবং ইহার রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তাবিধান আমাদের পবিত্র কর্তব্য;

এতদ্বারা আমাদের এই গণপরিষদে, অদ্য তের শত ঊনআশী বঙ্গাব্দের কার্তিক মাসের আঠারো তারিখ, মোতাবেক ঊনিশ শত বাহাত্তর খ্রীষ্টাব্দের নভেম্বর মাসের চার তারিখে, আমরা এই সংবিধান রচনা ও বিধিবদ্ধ করিয়া সমবেতভাবে গ্রহণ করিলাম।

প্রথম ভাগ- প্রজাতন্ত্র

দ্বিতীয় ভাগ- রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি

তৃতীয় ভাগ- মৌলিক অধিকার

চতুর্থ ভাগ-নির্বাহী বিভাগ

পঞ্চম ভাগ-আইনসভা
১ম পরিচ্ছেদ-সংসদ
২য় পরিচ্ছেদ-আইন প্রনয়ন ও অর্থসংক্রান্ত পদ্ধতি
৩য় পরিচ্ছেদ-অধ্যাদেশপ্রণয়ন-ক্ষমতা

ষষ্ঠ ভাগ- বিচারবিভাগ

সপ্তম ভাগ- নির্বাচন

অষ্টম ভাগ- মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক

নবম ভাগ-বাংলাদেশের কর্মবিভাগ

দশম ভাগ-সংবিধান-সংশোধন

একাদশ ভাগ- বিবিধ

তফসিল

Add a Comment