BCS-Solution

বাংলাদেশের ব্যাংকিং অবস্থা

খেলাপি ঋণ
মোট- ১ লক্ষ ২৫ হাজার কোটি টাকা। রাষ্ট্র মালিকানাধীন চার ব্যাংক সোনালী, রূপালী, অগ্রণী, জনতা মোট খেলাপি প্রায় ২৯ হাজার কোটি টাকা।

২০১০-১১ অর্থবছরে সরকার একতরফা ভাবে ১৫হাজার কোটি টাকা বেইল আওউট দিয়েছে। ২০১৮ তে ব্যাংক গুলো এবার ২০ হাজার কোটি টাকা চাচ্ছে।

নেপালে খেলাপি ঋণের পরিমাণ গড়ে ১ দশমিক ৭১ শতাংশ, সেখানে বাংলাদেশের খেলাপি ঋণের পরিমাণ গড়ে ২৫ শতাংশ। আর বেসিক ব্যাংক ও বিডিবিএলে সেই পরিমাণ ৫০ শতাংশেরও বেশি।

শ্রেণীকৃত ঋণ
আমাদের দেশে ৩ শতাংশের মধ্যে থাকা বাঞ্ছনীয়। ২০১৭ সালের হিসাব পর্যালোচনায় প্রতীয়মান হয় যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের শ্রেণীকৃত ঋণের হার গড়ে ৩২ শতাংশ।

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান চালানোর জন্য একাধিক আইন থাকলেও তার যথাযথ প্রয়োগ নেই। এ কারণেই একের পর এক কেলেঙ্কারি ঘটেছে, খেলাপি ঋণের পরিমাণ সীমা ছাড়িয়েছে, কোনো কোনো ব্যাংক গ্রাহকদের আস্থা হারিয়েছে। এ অবস্থায় সরকারের উচিত ব্যাংকিং খাতের সংকট উত্তরণে কার্যকর ও টেকসই পদক্ষেপ নেওয়া।

ব্যাংক থেকে ঋণ যাচ্ছে, কিন্তু বিনিয়োগ তেমন দেখা যাচ্ছে না। ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ মোট দেশজ উৎপাদনের(জিডিপি) তুলনায় তিন বছর ধরে প্রায় একই জায়গায় আটকে আছে। আবার জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার যদিও বাড়ছে, কর্ম সংস্থানে তার প্রতিফলন কম। অর্থনীতিতে তাহলে কি হচ্ছে? টাকা যাচ্ছে কোথায়, টাকা কি তাহলে পাচার হচ্ছে?

বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যংক মালিকদের প্রভাব

উপর্যুক্ত কাজ গুলো, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়ের করার কথা, কিন্তু ব্যাংক মালিকেরা এতই প্রভাবশালী, তারাই এখন নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোও বিএবির ঘোষণা অনুসরণ করেছে।

Paper Clipping

অর্থনীতি নিয়ে ‘নয়ছয়’ বন্ধ হোক

আগামী দিনের ‘টাইম বোমা’ *****
ব্যাংক রক্ষার মানে কী***
স্বেচ্ছা-খেলাপিদের ছলচাতুরী**
স্বাধীন ব্যাংক কমিশন গঠন জরুরি****

দেউলিয়া ঝুঁকি ও সম্পূর্ণ বাংলাদেশীয় ‘বেইল আউট’ সমাচার
এরশাদের বিবৃতি সমাচার**

Exit mobile version