জাতীয় সংসদ নির্বাচন

জাতীয় সংসদ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন সভা ও এটি এক কক্ষ বিশিষ্ট। এ আইন সভার জন্য জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে ৩০০ জন সংসদ সদস্যকে নির্বাচিত করা হয়। এছাড়াও ৫০ জন মহিলা সংসদ সদস্য সংরক্ষিত আসনের মাধ্যমে সংসদ সদস্যরূপে মনোনীত হন। নির্বাচিত রাজনৈতিক দলের প্রধানমন্ত্রীই হলেন সরকার প্রধান। রাষ্ট্রের প্রধান হলেন একজন রাষ্ট্রপতি যিনি জাতীয় সংসদ কর্তৃক নির্বাচিত হন। বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতির পদ হলো আনুষ্ঠানিকতা, প্রকৃতপক্ষে সকল ক্ষমতা ন্যস্ত থাকে সরকার প্রধানের হাতে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ২০১৮ বাংলাদেশে ৩০ শে ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হয়। এা নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট বিজয়ী হয় এবং ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপির জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ৭টি আসন লাভ করে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন কে. এম. নুরুল হুদা।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৫ই জানুয়ারি ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনটি নবম জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ অধিকাংশ দলই বর্জন করে এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ ও সতন্ত্রসহ ১৭টি দল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। এছাড়াও নির্বাচনে ৩০০টি আসনের মধ্যে ১৫৩টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা বিজয়ী হওয়ায় নির্বাচনটি নিয়ে অনেক বিতর্কের সৃষ্টি হয়।

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন
বাংলাদেশে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২৯শে ডিসেম্বর ২০০৮ সালে। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল তত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দীন আহমদ-এর নেতৃত্বাধীন সামরিক সরকারের অধীনে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ২৩০ আসনে জয় লাগ করে।

অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন
অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অক্টোবর ১, ২০০১ সালে অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে দুটি প্রধান দল, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি অংশগ্রহণ করেছিল। এটি হলো ১৯৯৬ সালে চালু হওয়া তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দ্বিতীয় নির্বাচন। নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় তত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান ছিলেন লতিফুর রহমান। এ নির্বাচনে বিএনপি সরকার গঠন করে, আওয়ামী লীগ বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করে।

সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন
সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন জুন ১২, ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে দুটি প্রধান দল, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি অংশগ্রহণ করে। ৩০০টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ১৪৬টি আসনে জয়লাভ করে।

ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়। অধিকাংশ বিরোধী রাজনৈতিক দল নির্বাচনটি বর্জন করেছিল। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নির্বাচনে জয় লাভ করে এবং ৩০০টি আসনের মধ্যে ৩০০টি আসনই লাভ করে। পরবর্তীতে নিরপেক্ষ নির্বাচন জুনে অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের সংসদীয় রাজনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে ছোট সংসদ ছিল এটি। সংসদ স্থায়ী ছিল মাত্র ১২ দিন।

পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন
পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২৭শে ফেব্রুয়ারি ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। নির্বাচনে দুটি প্রধান দল, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ছিল শেখ হাসিনা; বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নেতৃত্বে ছিল খালেদা জিয়া। নির্বাচনে খালেদা জিয়া নেতৃত্বাধীন বিএনপি জয় লাভ করে। তারা ৩০০টি আসনের মধ্যে ১৪০টি আসন লাভ করে।

চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৩রা মার্চ ১৯৮৮ সালে অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনটি বাংলাদেশের অধিকাংশ প্রধান দলই বর্জন করেছিল; যেমন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, ও অন্যান্য। নির্বাচনে জাতীয় পার্টি জয় লাভ করে, তারা ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৫১টি আসন লাভ করে।

তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন
তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৭ই মে ১৯৮৬ সালে অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ৩০০টি আসনের মধ্যে ১৫৩টি আসন নিয়ে জয় লাভ করে। পূর্বের নির্বাচনের বিজয়ী বিএনপি এই নির্বাচনটি বর্জন করেছিল। আওয়ামী লীগ ৭৬টি আসন পেয়ে বিরধীদলের ভূমিকা পালন করে।

দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন
দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৯ সালে অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল জয় লাভ করে; তারা জাতীয় সংসদের ৩০০টি আসনের মধ্যে ২০৭টি আসন লাভ করে।

প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন
প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৭ই মার্চ ১৯৭৩ সালে অনুষ্ঠিত হয়। (৪০তম বিসিএস প্রিলিমিনারি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৯৩টি আসন লাভ করে। এই নির্বাচনে এগারোটি আসনে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় দল ছিল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল(জাসদ)।

Add a Comment