BCS-Solution

অধস্তন আদালত

সুপ্রিম কোর্টের অধীনে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় বিচার বিভাগের অধস্তন আদালত আছে। অধস্তন আদালতগুলো ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলা পরিচালনা করে।

জেলা জজের আদালত: জেলা আদালতের প্রধান জেলা জজ। তার কাজে সহায়তার জন্য আছেন অতিরিক্ত জেলা জজ ও সাব-জজ। এই আদালত জেলা পর্যায়ে দেওয়ানি (জমিজমাসংক্রান্ত, ঋণচুক্তি ইত্যাদি) ও ফৌজদারি (সংঘাত, সংঘর্ষসংক্রান্ত) মামলা পরিচালনা করে। জেলা জজ যখন ফৌজদারি মামলার বিচার করেন তখন তাঁকে সেশন জজ বা দায়রা জজ বলে। অতিরিক্ত জেলা জজও যখন ফৌজদারি মামলা পরিচালনা করেন তখন তাঁকে অতিরিক্ত দায়রা জজ বলে।

যুগ্ম জেলা জজ ও সহকারী জজ আদালত: জেলা জজের আদালতের অধীনে প্রত্যেক জেলায় সাব জজ ও সহকারী জজ আদালত আছে। এগুলো জেলা জজ আদালতকে মামলা পরিচালনায় সহায়তা করে। যুগ্ম জেলা জজ যখন ফৌজদারি মামলার বিচার করেন তখন তাঁকে সহকারী দায়রা জজ বলে।

গ্রাম আদালত: বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার সর্বনিম্ন আদালত হলো গ্রাম আদালত। এটি ইউনিয়ন পর্যায়ে আবস্থিত। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিবদমান দুই গ্রুপের দুজন করে মোট পাঁচজন সদস্য নিয়ে গ্রাম আদালত গঠিত। যেসব মামলা স্থানীয় পর্যায়ে বিচার করা সম্ভব, মূলত সেগুলোর বিচার এখানে করা হয়। ছোটখাটো ফৌজদারি মামলার বিচার এ আদালতে করা হয়ে থাকে। (গ্রাম আদালত আইন-২০০৬)

আদালতসমূহের উপর তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে বাংলাদেশ সংবিধানে নিম্নোক্ত অনুচ্ছেদগুলো বিদ্যমান।

১০৯। হাইকোর্ট বিভাগের অধঃস্তন সকল আদালত ও ট্রাইব্যুনালের উপর উক্ত বিভাগের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ-ক্ষমতা থাকিবে।

১১৬। বিচার-কর্মবিভাগে নিযুক্ত ব্যক্তিদের এবং বিচারবিভাগীয় দায়িত্বপালনে রত ম্যাজিষ্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল- নির্ধারণ, পদোন্নতিদান ও ছুটি মঞ্জুরীসহ) ও শৃংখলাবিধান রাষ্ট্রপতির উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং সুপ্রীম কোর্টের সহিত পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক তাহা প্রযুক্ত হইবে।

১১৬ক। এই সংবিধানের বিধানাবলী সাপেক্ষে বিচার-কর্মবিভাগে নিযুক্ত ব্যক্তিগণ এবং ম্যাজিষ্ট্রেটগণ বিচারকার্য পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকিবেন।

Exit mobile version