সুশীল সমাজ

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে সুশীল সমাজের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুশীল সমাজ রাষ্ট্র ও নাগরিকের মাঝে সংযোগ স্থাপন করে। বিভিন্ন পেশাজীবী সংঘঠন, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংঘঠন, শ্রমিক ইউনিয়ন, স্থানীয় ক্লাব, বিভিন্ন এনজিও, আইনজীবী সমিতি, চেম্বার অব কমার্স ইত্যাদি সুশীল সমাজের অন্তর্ভূক্ত। আমাদের সংবিধানই(৩৮ অনুচ্ছেদঃ সংঘঠনের স্বাধীনতা) মানুষকে এ ধরনের সংঘটন করার অনুমতি দিয়েছে।

সুশীল সমাজের বৈশিষ্ট্যঃ

  • সুশীল সমাজ কোন সরকারি ব্যক্তি নন, তিনি আইন প্রণেতা, প্রশাসক, বা বিচারিক ক্ষমতা সম্পন্ন ও কোণ ব্যক্তি নন।
  • সুশীল সমাজ একটি বৈধ প্রতিষ্ঠান।
  • তাঁরা কোন বিশেষ দলের প্রতিনিধিত্ব করে না। দল মত নির্বিশেষে যৌক্তিক ও নিরপেক্ষ মতামত তুলে ধরাই তাঁদের কাজ।

কাজ

  • সুশীল সমাজ রাষ্ট্র নাগরিকের মাঝে সংযোগ স্থাপন করে।
  • এসিড সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা, খুন, ধর্ষণ ইত্যাদিত মত গর্হিত কাজের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরি করা।
  • নাগরিকদের স্বার্থ ও দাবী সংরক্ষণে সরকারের কাছে দাবী উত্থাপন করা।
  • মানবাধিকার, গণতন্ত্র, জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও সুশাসন প্রতিষ্টায় ভূমিকা রাখা।
  • নাগরিক সমস্যার সমাধান কোথায় পাওয়া যাবে, কিভাবে পাওয়া যাবে তা জনগনকে জানানো।
  • সুশীল সমাজ সরকারি পদক্ষেপের গঠনমূলক সমালোচনা করে।
  • সরকার যাতে স্বৈরচারী ও কর্তৃত্ববাদী না হয় সেজন্য ভূমিকা রাখা।
  • জনগনের আর্থ-সামাজিক স্বার্থ সংরক্ষণে জনমত গঠনের চেষ্টা করা।
    নাগরিক সমস্যা সমাধানে উন্মুক্ত আলোচনার ব্যবস্থা করা।

সুশীল সমাজ নাগরিক স্বার্থ দেখবেন সেটাই স্বাভাবিক। রাজনৈতিক স্বার্থে তাঁরা কাজ করে না।
আরও দেখুন চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠী
বুদ্ধিজীবীরা কখন অবান্তর হয়ে যান?**
সমালোচক মানেই শত্রু, রাষ্ট্রদ্রোহী**

Add a Comment