সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী
|জাতীয় সংসদে পঞ্চম সংশোধনী আনা হয় ১৯৭৯ সালের ৬ এপ্রিল। পঞ্চম সংশোধনী সংবিধানে কোন বিধান সংশোধন করেনি। এ সংশোধনী ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টে সামরিক শাসন জারির পর থেকে ৬ এপ্রিল ১৯৭৯ পর্যন্ত সামরিক শাসনামলের সব আদেশ, ঘোষণা ও দণ্ডাদেশ বৈধ বলে অনুমোদন করে। এ সংশোধনীর পটভূমি জানতে ক্লিক করুন।
এ সংশোধনীর নিম্নোক্ত বৈষিষ্টগুলো পরিলক্ষিত হয়-
- অবৈধভাবে ক্ষমতা গ্রহণকে উৎসাহিত করা হয়।
- সংবিধানের প্রারম্ভে ‘ বিস্মিল্লাহির-রহ্মানির রহিম ‘ সংযোজন।
- বাঙালি জাতীয়তা বাদ দিয়ে ‘বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ’-এর সূচনা করা হয়।
- চার মূলনীতির ধর্ম নিরপেক্ষতা ও সমাজ তন্ত্রের পরিবর্তন আনা হয়। ধর্ম নিরপেক্ষতার পরিবর্তে ‘ মহান আল্লাহতালার প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ সংযোজন করা হয়।
- সমাজতন্ত্রের পরিবর্তে ‘সামাজিক ও অর্থনৈতিক ন্যায় বিচার অর্থে সমাজতন্ত্র’ প্রতিস্থাপন করা হয়।
- Indemnity Ordinance – কে বৈধতা দেওয়া হয়। যা পঞ্চম তফসিলের ১৮ নং অনুচ্ছেদে সংযুক্ত হয়েছিল।
- প্রধান বিচারপতি ও দুজন সিনিয়র বিচারপতি নিয়ে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠনের ব্যবস্থা করা হয়। বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কাছে ন্যস্ত হয়। উল্লেখ্য যে চতুর্থ সংশোধনীতে বিচারপতি অভিশংসনের ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির কাছে ন্যাস্ত করা হয়ে ছিল। আর মূল তথা বাহাত্তরের সংবিধানে তা সংসদের কাছে ছিল।
এ সংশোধনী ছিল সংবিধানের মৌলিক কাঠামোগত পরিবর্তন। যা ২০০৫ সালের ২৯ আগস্ট হাইকোর্টের এক রায়ে বাতিল হয়ে যায়।
👉 Read More...👇