মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসে মিশন গঠন

বহির্বিশ্বে মুজিবনগর সরকারের কূটনৈতিক তৎপরতা ছিল একটি উল্লেখযোগ্য বিষয়। মুজিবনগর সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিচারপতি আবু সাঈদ আবু সাঈদ চৌধুরী কে বহির্বিশ্বে বিশেষ দূত নিয়োগ করে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে বহির্বিশ্বের সমর্থন ও জনমত আদায়ের চেষ্টা করে। বহির্বিশ্বে মুজিবনগর সরকারের তৎপরতার অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হচ্ছে কলকাতা, দিল্লি, লন্ডন, ওয়াশিংটন, নিউইয়র্ক ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ সরকারের মিশন স্থাপন করা। যার ফলশ্রুতিতে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রায় ৩৮ জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা পাকিস্তান দূতাবাস ত্যাগ করে বাংলাদেশের পক্ষে আনুগত্য প্রকাশ করেন। ৬ এপ্রিল দিল্লিস্থ পাকিস্তান দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব কে এম শিহাব উদ্দিন পাকিস্তান দূতাবাস ত্যাগ করে প্রথম বিদ্রোহ করেন। ১৭ (অথবা ১৮ 😕 ) এপ্রিল কলকাতাস্থ পাকিস্তান মিশনের সহকারী হাইকমিশনার হোসেন আলীসহ তাঁর ১০জন সহকর্মী বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন। বিদেশে কলকাতাতেই প্রথম বাংলাদেশের দূতাবাস স্থাপন করা হয়। ৪ অক্টোবর নয়াদিল্লিস্থ পাকিস্তানি দূতাবাসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী প্রকাশ্যে বাংলাদেশ আন্দোলনে যোগদান করেন। মে মাসের প্রথম দিকে শেখ মুজিবুর রহমানের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক রেহমান সোবহান সরকারের নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্রে যান। তিনি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ সরকারের প্রথম প্রতিনিধি।

Add a Comment