উপদেষ্টা পরিষদ গঠন
উপদেষ্টা পরিষদ গঠন: মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রবাসী সরকারের গঠনের সাথে সাথে উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয়, যা সরকারের কার্যক্রমকে সহযোগিতা ও সমর্থন প্রদান করে। এই পরিষদ মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক, এবং কূটনৈতিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
উপদেষ্টা পরিষদের প্রেক্ষাপট
মুজিবনগর সরকারের অধীনে মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করতে উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয়। এই পরিষদ মুক্তিযোদ্ধাদের ও সাধারণ জনগণের মধ্যে সমন্বয় স্থাপন এবং মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য অর্জনের জন্য কার্যক্রম পরিচালনা করে।
গঠনের উদ্দেশ্য
- নীতিগত নির্দেশনা প্রদান: মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা এবং দিকনির্দেশনা প্রণয়ন করা।
- মুক্তিযোদ্ধাদের সমর্থন: মুক্তিযোদ্ধাদের সাংগঠনিক দিকনির্দেশনা ও মনোবল বৃদ্ধি করা।
- রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক কার্যক্রম: মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক কার্যক্রমে সমর্থন ও সহযোগিতা প্রদান করা।
উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা
উপদেষ্টা পরিষদে বিভিন্ন খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব এবং রাজনৈতিক নেতা অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, যাঁরা মুক্তিযুদ্ধের সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। কিছু উল্লেখযোগ্য সদস্য হলেন:
- তাজউদ্দীন আহমদ: প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা পালনকারী তাজউদ্দীন আহমদ পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন এবং যুদ্ধ পরিচালনায় নেতৃত্ব দেন।
- আসাদুজ্জামান খাঁন: মুক্তিযুদ্ধের সময় বিভিন্ন কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন।
- ড. কামাল হোসেন: আইনজ্ঞ ও রাজনৈতিক নেতা হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থন অর্জনে কাজ করেন।
কার্যক্রম
উপদেষ্টা পরিষদের কার্যক্রমের মধ্যে কিছু প্রধান দিক নিচে আলোচনা করা হলো:
- নীতি ও নির্দেশনা: মুক্তিযুদ্ধের সময় পরিষদ বিভিন্ন নীতি প্রণয়ন করে এবং সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য সুপারিশ করে।
- শরণার্থী সেবা: শরণার্থীদের জন্য মানবিক সহায়তা প্রদানে ত্রাণ কার্যক্রমের সমর্থন করে।
- আন্তর্জাতিক সমর্থন: কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী তুলে ধরে এবং সমর্থন অর্জনের জন্য প্রচেষ্টা চালায়।
উপসংহার
মুক্তিযুদ্ধের সময় উপদেষ্টা পরিষদ গঠন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। এই পরিষদ মুক্তিযোদ্ধাদের সমর্থন প্রদান, রাজনৈতিক নীতিমালা প্রণয়ন এবং আন্তর্জাতিক সমর্থন অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উপদেষ্টা পরিষদের কার্যক্রম মুক্তিযুদ্ধকে সংগঠিত এবং সফল করতে সাহায্য করে, যা বাংলাদেশকে স্বাধীনতা অর্জনে সহায়তা করে।
Related Posts
-
প্রভাত ফেরি
No Comments | Dec 25, 2019
-
কক্সবাজার
No Comments | May 22, 2016
-
ধর্মনিরপেক্ষতা
No Comments | May 28, 2018
-
What does the US-China trade war mean for Bangladesh?*****
No Comments | Jul 15, 2018