BCS-Solution

জহির রায়হান

বিগত সালের BCS Preliminary- তে এখান থেকে প্রশ্ন এসেছে টি।

Jahir Rayhan
জহির রায়হান ১৯৩৫ সালের ১৯শে আগস্ট ফেনী জেলার মজুপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর আসল নাম মোহাম্মদ জহিরুল্লাহ। ১৯৫৮ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় সম্মান ডিগ্রি লাভ করেন। একজন ছোটগল্পকার ও ঔপন্যাসিক হিসেবে জহির রায়হান খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি মূলত মধ্যবিত্ত জীবনের রুপকার। চারপাশের মানুষের সুখ-দুঃখ ও আনন্দ-বেদনার চিত্র তাঁর রচনাকে সমৃদ্ধ করেছে। সমাজের নানা বৈষম্য ও অসঙ্গতির বিরুদ্ধেও তাঁর কণ্ঠ ছিল বলিষ্ঠ। ১৯৫২ সালে তিনি ভাষা আন্দোলনে যোগ দেন। ২১ ফেব্রুয়ারি যে ১০ জন প্রথম ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করেন তিনি তাঁদের অন্যতম। অন্যান্যদের সঙ্গে তাঁকে মিছিল থেকে গ্রেফতার করে কারারুদ্ধ করা হয়।

উপন্যাসঃ হাজার বছর ধরে, বরফ গলা নদী, শেষ বিকেলের মেয়ে, আরেক ফাল্গুন, আর কত দিন ইত্যাদি তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাস।

তথ্য কণিকা

বাংলাদেশের একজন খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকার হিসেবেও জহির রায়হানের পরিচিতি রয়েছে। তিনি বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ চলচিত্র পরিচালক।
চলচ্চিত্র : সোনার কাজল, কখনো আসেনি, কাঁচের দেয়াল, বেহুলা, জীবন থেকে নেয়া (৩৯তম বিসিএস প্রিলিমিনারি) , আনোয়ারা, সঙ্গম, টাকা আনা পাই, সুয়োরাণী-দুয়োরাণী, বাহানা। জীবন থেকে নেয়া ছবিতে প্রতীকী কাহিনীর মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের স্বৈরাচারী শাসনকে চিত্রিত করা হয় এবং জনগণকে পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে উদ্বুদ্ধ করা হয়। কখনও আসেনি তাঁর প্রথম ছবি।

মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক প্রামাণ্য চিত্র

তিনি Let there be light নামে একটি ইংরেজি প্রামাণ্য চিত্র নির্মাণ শুরু করেন। (40তম বিসিএস প্রিলিমিনারি) কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ায় তিনি তা শেষ করতে পারেন নি। ১৯৭১-এর ২৫ মার্চের পর তিনি কলকাতায় যান। সেখান থেকে পাকিস্তানি সামরিক জান্তার গণহত্যার চিত্র সম্বলিত Stop Genocide নির্মাণ করেন। এটি পৃথিবী জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে। তাঁর অপর একটি মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক প্রামাণ্য চিত্রের নাম –A state is born.

১৯৭১ সালে জহিরের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা প্রখ্যাত লেখক শহীদুল্লা কায়সার কে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা তাঁর বাসভবন থেকে তুলে নিয়ে যায়। ১৯৭১ সালের ৩০ ডিসেম্বর তিনি খবর পান যে, শহীদুল্লা কায়সারকে ঢাকার মিরপুরে রাখা হয়েছে। তিনি তাঁকে উদ্ধারের জন্য সেখানে যান। ১৯৭২ এর ৩০ জানুয়ারীর পর তাঁর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়না।

Exit mobile version