সৈয়দ মুজতবা আলী

সৈয়দ মুজতবা আলী
সৈয়দ মুজতবা আলী
সৈয়দ মুজতবা আলী ১৩ই সেপ্টেম্বর ১৯০৪ খ্রিষ্টাব্দে আসামের করিমগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা সিকান্দর আলী। সৈয়দ মুজতবা আলীর পৈত্রিক নিবাস মৌলভীবাজারে। তিনি সিলেট গভর্মেন্ট হাইস্কুল ও শান্তি নিকেতনে পড়াশোনা করেন। পরে ১৯২৬ সালে বিশ্বভারতী থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। আফগানিস্তানে কাবুলের কৃষি বিজ্ঞান কলেজে অধ্যাপনা দিয়ে কর্মজীবন শুরু হয়। এরপর বার্লিন ও বন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন। ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি বন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। কর্মজীবনে কখনও তিনি মিশরের আল আযাহা বিশ্ববিদ্যালয়ে, মহীশূরের বরোদা কলেজে অধ্যাপনা করেন। তিনি ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দে বগুড়ার আজিজুল হক কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। কিন্তু পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে প্রবন্ধ লেখার অভিযোগে তাঁকে চাকুরি ছাড়তে হয়। ১৯৬১ সালে তিনি বিশ্বভারতীর রিডাব নিযুক্ত হন। সৈয়দ মুজতবা আলী নিজস্ব এক গদ্যশৈলীর নির্মাতা। প্রচুর ভাষায় ব্যুৎপত্তি ও অসাধারণ পাণ্ডিত্যের সংমিশ্রণে তিনি যে গদ্য রচনা করেছেন তা খুবই রসগ্রাহী হয়ে উঠেছে।

উপন্যাসঃ অবিশ্বাস্য, শবনম(পটভূমি আফগানিস্তান), শহরইয়ার ও তুলনাহীন। উপন্যাস গুলো সাধারনত নায়িকা প্রধান। শবনম, শহরইয়ার উপন্যাস দুটির নায়িকার নামানুসারে করা হয়েছে। ১৯৭১ সালে পূর্ব বাংলার ক্রান্তিলগ্নে পশ্চিম বাংলা যে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করা ছিল- সে অনুভূতিই ব্যক্ত হয়েছে তুলনাহীন উপন্যাসে।

ভ্রমণকাহিনীঃ দেশে-বিদেশে (কাবুল শহরের কাহিনী নিয়ে লেখা।) , জলে ডাঙ্গায়।

রম্যরচনাঃ পঞ্চতন্ত্র, ময়ূরকণ্ঠী

গল্পমালাঃ চাচা কাহিনী(শ্রেষ্ঠ গল্পগ্রন্থ), পুনশ্চ, রস-গোল্লা (ইংরেজি), ধুপছায়া, টুনিমেম। তিনি ১১ই ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৪ সালে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।

তাঁর একটি বিখ্যাত উক্তি হল, “বই পড়ে কেউ দেইলিয়া হয়না”,

Add a Comment