মাহমুদুল হক

এখান থেকে প্রিলিমিনারিতে একটি প্রশ্ন এসেছিল

বাংলা সাহিত্যে মাহমুদুল হক এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, তার সুচিন্তিত দৃষ্টিভঙ্গি গভীর দার্শনিকতার প্রত্যক্ষ উদাহরণ সাহিত্যে বিরাজমান। মাহমুদুল হক ১৯৪১ সালের ১৬ নভেম্বর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বারাসাতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম সিরাজুল ইসলাম, মায়ের নাম মাহমুদা বেগম। ১৯৪৭ এর দেশভাগের সময় পর পিতা সরকারের উচ্চপদে চাকরিসূত্রে পূর্ব পাকিস্তানে যোগদান করেন এবং বেশ পরে তিনি পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে ১৯৫১ সালে আজিমপুরে বসবাস শুরু করেন। তিনি ছয় ভাই চার বোনের মধ্যে চতুর্থ ছিলেন।

শিক্ষা ও পেশাগত জীবন
মাহমুদুল হকের পড়ালেখার হাতেখড়ি হয়েছিল বারাসাতের কালীকৃষ্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ১৯৫২ সালে ঢাকার লালবাগের ওয়েস্ট এন্ড স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিলেন। রাতকানা রোগের কারণে মাঝখানে কিছুদিন তিনি পড়ালেখায় বিরতি দেন। পরে তিনি ১৯৫৮ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। পরে তিনি জগন্নাথ কলেজে (বর্তমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) ভর্তি হলেও পড়ালেখার চেয়ে আড্ডাবাজিতে মগ্ন হয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখার ইতি ঘটান। দৈনিক সংবাদ পত্রিকার অনুবাদক হিসেবে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন। কিন্তু তিন মাসের মাথায় চাকরি ছেড়ে দিয়ে তিনি প্রথমে মনোহারি, পরে জুয়েলারি ব্যবসার সাথে যুক্ত হন। পরে প্রেস প্রতিষ্ঠা করলেও তা টেকাতে পারেননি।

মাহমুদুল হকের শিক্ষক ছিলেন কথাশিল্পী শহীদ সাবের। তার প্রত্যক্ষ প্রেরণায় তিনি সাহিত্যের সাথে যুক্ত হন এবং প্রথমে ‘অগ্রগামী’ নামে একটি সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশ করেন। পত্রিকাটির মাত্র ৩টি সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছিল। মাহমুদুল হক যখন সপ্তম শ্রেণির ছাত্র তখন ‘রেড হর্নেট’ (১৯৫৪) ডিটেকটিভ উপন্যাস রচনা করেন। এ সময় তিনি ‘অরণ্য বাসর’ ও ‘আমি সম্রাট’ নামি দুটি রোমাঞ্চধর্মী উপন্যাসও লিখেছিলেন।

মাহমুদুল হক ১৯৭৭ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৮৪ সালের পর আর লেখালেখি করেন নি। ২১ জুলাই ২০০৮ সালে তিনি মৃত্যু বরণ করেন।

উপন্যাস
অনুর পাঠশালা (১৯৬৭)
জীবন আমার বোন (১৯৭২)
কালো বরফ (১৯৭৭) (৪০তম বিসিএস প্রিলিমিনারি)
অশরীরী (১৯৭৯)
পাতালপুরী (১৯৮১)
খেলাঘর (১৯৮৮)
মাটির জাহাজ (১৯৭৭)

শিশুতোষ উপন্যাস
চিক্কোর কাবুক (১৯৭৯)

গল্পগ্রন্থ
প্রতিদিন একটি রুমাল (১৯৯৪)
মানুষ মানুষ খেলা (২০০৯)
শ্বাপদ (১৯৭০)
যুদ্ধ যখন শেষ হলো (১৯৭২)

Add a Comment