সতীময়না-লোরচন্দ্রানী

আরাকানরাজ শ্রীসুধর্মার ( ১৬২২-১৬৩৮) সমরসচিব আশরফ খানের পৃষ্ঠপোষকতা ও নির্দেশে দৌলত কাজী সতীময়না ও লোরচন্দ্রানী কাব্য রচনা করেন। তিনি হিন্দি কবি মিঁয়া সাধনের মৈনাসৎ ও মোল্লা দাউদের চান্দাইন কাব্য অনুসরণ করেন বলে ধারণা করা হয়। কাব্যটির দুই-তৃতীয়াংশ রচনার পর কবির মৃত্যু হলে আলাওল বাকি অংশ সমাপ্ত করেন (১৬৫৯)।

উপাখ্যান
সতীময়না ও লোরচন্দ্রানী রোমা্যন্টিক আখ্যানমূলক কাব্য। এতে সামন্তপতি লোরের সঙ্গে অপর সামন্তবধূ চন্দ্রানীর পরকীয়া প্রেমের বর্ণনা আছে। কাব্যখানি মানবিক জীবনরসে সিক্ত। হিন্দি মূল কাব্যে রূপকের মাধ্যমে আধ্যাত্মিকতা বর্ণনা করা হয়েছে। রচনাদর্শের সংযম, বর্ণনার লালিত্য ও পরিমিতিবোধ দৌলত-প্রতিভার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। তিনি রামায়ণ, মহাভারত, কালিদাস, জয়দেব, প্রমুখের কাব্য, বৈষ্ণবপদাবলি, লোককথা ইত্যাদি ঐতিহ্যের ব্যবহারে নিপুণতা দেখিয়েছেন। মধ্যযুগের কবিদের মধ্যে কাব্যরস ও শিল্পসৌন্দর্য সৃষ্টিতে দৌলত কাজীর স্থান অতি উচ্চে।

Add a Comment