যুক্তবর্ণ

বিগত বিসিএস প্রিলিতে এখান থেকে প্রশ্ন এসেছে বার।

দুটি বর্ণকে একসাথে জুড়ে দিলেই পাওয়া যায় যুক্তাক্ষর। অর্থাত্‍ দুটি বর্ণের প্রথমটিতে যদি হসন্ত থাকে তবে বানানের সময় উভয়কে একত্রে লেখা হলে প্রাপ্ত বর্ণটিই যুক্তবর্ণ বা যুক্তাক্ষর[(যুক্ত+অক্ষর=যুক্তাক্ষর) বাংলা ভাষায় কোনো শব্দের কোনো বর্ণে অবস্থিত স্বরবর্ণকে চাপা দিতে বা উচ্চারণ না করতে ্ (হসন্ত) ব্যবহৃত হয়। আর তখন সে বর্ণের পরের বর্ণ, বর্ণটির সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়। যুক্ত হওয়ার পর অক্ষরটিকে বলা হয় যুক্তাক্ষর। যেমনঃ ব+ই+দ্‌+য-ফলা+আ=বিদ্যা। হসন্তযুক্ত বর্ণটিকে হলন্ত বর্ণ বলা হয়।

ধারণা করা হয় ফলাও এক প্রকার যুক্তাক্ষর। সুতরাং যুক্তাক্ষর দুই প্রকারঃ সাধারণ ও
ফলা।

বাংলা ভাষায় ৬টি ফলা

ব-ফলা
ম-ফলা
র-ফলা
ন-ফলা
য-ফলা
ল-ফলা

সাধারণ যুক্তাক্ষরঃ বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত কয়েকটি বিশেষ যুক্তাক্ষর নিচে দেওয়া হল।

ক্ত = ক্‌ + ত; যেমন: রক্ত
ক্ম = ক্‌ + ম; যেমন: রুক্মিণী
ক্র = ক্‌ + র; যেমন: চক্র
ক্ষ = ক্‌ + ষ; যেমন: পক্ষ
ক্ষ্ণ = ক্‌ + ষ + ণ; যেমন: তীক্ষ্ণ
ক্ষ্ম = ক্‌ + ষ + ম; যেমন: লক্ষ্মী
ক্স = ক্‌ + স; যেমন: বাক্স
ঙ্ক = ঙ্‌ + ক; যেমন: অঙ্ক
ঙ্গ = ঙ্‌ + গ; যেমন: অঙ্গ
ঙ্ম = ঙ্‌ + ম; যেমন: বাঙ্ময়
জ্ঞ = জ্‌ + ঞ; যেমন: জ্ঞান
ঞ্চ = ঞ্‌ + চ; যেমন: অঞ্চল
ঞ্ছ = ঞ্‌ + ছ; যেমন: লাঞ্ছনা
ঞ্জ = ঞ্‌ + জ; যেমন: কুঞ্জ
ঞ্ঝ = ঞ্‌ + ঝ; যেমন: ঝঞ্ঝা
ট্ট = ট্‌ + ট; যেমন: চট্টগ্রাম
ণ্ড = ণ্‌ + ড; যেমন: গণ্ডগোল
ণ্ড্র = ণ্‌ + ড + র; যেমন: পুণ্ড্র
ণ্ম = ণ্‌ + ম; যেমন: চিণ্ময়
ত্ত = ত্‌ + ত; যেমন: উত্তর
ত্ত্ব = ত্‌ + ত + ব; যেমন: সত্ত্ব
ত্থ = ত্‌ + থ; যেমন: অশ্বত্থ
ত্ন = ত্‌ + ন; যেমন: যত্ন
ত্ম = ত্‌ + ম; যেমন: আত্মা
ত্র = ত্‌ + র যেমন: ত্রিশ, ত্রাণ
দ্ধ = দ্‌ + ধ; যেমন: রুদ্ধ
দ্ব = দ্‌ + ব; যেমন: বিদ্বান
ন্ধ = ন্‌ + ধ; যেমন: অন্ধ
ন্ম = ন্‌ + ম; যেমন: চিন্ময়
ব্জ = ব্‌ + জ; যেমন: ন্যুব্জ
ব্ধ = ব্‌ + ধ; যেমন: লব্ধ
শ্ন = শ্‌ + ন; যেমন: প্রশ্ন
শ্ম = শ্‌ + ম; যেমন: জীবাশ্ম
ষ্ণ = ষ্‌ + ণ; যেমন: কৃষ্ণ
স্থ = স্‌ + থ; যেমন: দুঃস্থ
হ্ণ = হ্‌ + ণ; যেমন: অপরাহ্ণ
হ্ন = হ্‌ + ন; যেমন: চিহ্ন
হ্ব = হ্‌ + ব; যেমন: আহ্বান
হ্ম = হ্‌ + ম; যেমন: ব্রাহ্মণ (২৩, ৩৮তম বিসিএস প্রিলিমিনারি)
হ্ল = হ্‌ + ল; যেমন: আহ্লাদ

Add a Comment