বাগধারা ক

কংস মামার আদর = কৃত্রিম ভালবাসা ।
কচু পোড়া= অখাদ্য।
কচু বনের কালাচাঁদ= অপদার্থ।
কচ্ছপের কামর = যা সহজে ছাড়ে না।
কটু কাটব্য = তিরস্কার বা গালিগালাজ ।
কত ধানে কত চাল = অভিজ্ঞতা অর্জন ।
কপাল ফাঁটা = ভাগ্য খারাপ হওয়া।
কপাল ঠুকে লাগা= প্রত্যয় নিয়ে কাজে অবতীর্ণ হওয়া।
কপোল কল্পনা= মনগড়া কথা।
কমলি ছাড়ে না= নাছোড়বান্দা।

করাতের দাঁত= উভয় সংকট।
কলমির ঝার= বংশে বহু লোক।
কলম পেষা= কেরানি গিরি ।
কলির সন্ধ্যা = দুঃখের শুরু।
কলি ফেরানো = দেয়ালে চুনকাম করা ।
কাঁচা বাঁশে ঘুন ধরা = অল্প বয়সে বিগড়ে যাওয়া ।
কাঁজি ভক্ষণ নামে গোয়ালা= হতভাগ্য।
কাকতালীয় ব্যাপার – কার্যকারনহীন ঘটনা। পরস্পর সম্পর্কহীন অথচ একসংগে সংঘটিত ঘটনা যা দেখে আপাতদৃষ্টিতে মনে হয় একটির সাথে অন্যটির সম্পর্ক আছে।

কাকস্নান= অসম্পূর্ণ গোসল।
কাক নিদ্রা= অগভীর সতর্ক নিদ্রা।
কাক ভূষণ্ডী = দীর্ঘজীবী ব্যক্তি । (২০তম বিসিএস প্রিলিমিনারি)
কাগুজে বাঘ= মিথ্যা জুজু।
কাছা আলগা = অসাবধান ।
কাছা ঢিলা = অসতর্ক/অসবধান ।
কাজির বিচার = গোঁজামিল দিয়ে বিচার করা ।
কাটনার কড়ি= সামান্য উপার্জন।
কাট গোঁয়ার = অত্যন্ত একগুয়ে।
কাঠের পুতুল = জড় পদার্থের ন্যয় নিষ্ক্রিয় ।
কানা কড়ি = কপর্দক ।

কানি খাওয়া= পক্ষপাতিত্ব করা।
কানু ছাড়া গীত নাই= একমাত্র অবলম্বন।
কানে ওঠা = শুনতে পাওয়া ।
কানে লাগা= শ্রুতিকটু মনে হওয়া ।
কান খড়কে = যার কান খুব সজাগ।
কান পাতলা = সহজে বিশ্বাস প্রবণ ।
কান ভাঙানো = কুপরামর্শ দেওয়া ।
কান ভারি করা = কুপরামর্শ দেওয়া।
কাপুরে বাবু = বাহ্যিক সাজ ।
কাবুতে পাওয়া= বাগে পাওয়া।
কার্তিকে ঝড়= অসময়ের ঝড়।
কালনেমির লংকা ভাগ – মাত্রারিতিক্ত আশা করে নিরাশ হওয়া/ কাজে নামার আগেই লাভের হিসাব করা।
কালাপানি পার= দ্বীপান্তর।
কায়দা হওয়া= বশে আসা।
কায়েতের ঘরের ঢেঁকি = অপদার্থ লোক।
কিপটের জাসু = অত্যন্ত কৃপণ।
কিল খেয়ে কিল চুরি = অপমান সয়ে চুপ থাকা।
কিষ্কিন্ধ্যাকাণ্ড = তুমুল হট্টগোল।
কুঁচো বাসন = ছোট খাট থালা বাটি।
কুঁজড়োপনা= ঝগড়াটে স্বভাব।
কুঁড়ের বাদশা = অত্যন্ত অলস ।

কুদরত রাখা = শক্তি বা ক্ষমতা রাখা ।
কুনকি হাতি = কৌশলে অন্যকে বশ করা।
কুবেরের ভাণ্ডার = অফুরন্ত ঐশ্বর্য।
কুমিরের সন্নিপাত= অসম্ভব ব্যাপার। (সন্নিপাত=১. সম্যক নাশ, পতন ২. কফ, বাত)
কুম্ভীরাশ্রু = নকল সমবেদনা, মায়া কান্না।
কুমড়ো কাটা বট ঠাকুর= অকর্মণ্য লোক।
কুলোপানা চক্কর= সারহীন আড়ম্বর।
কৃষ্ণের জীব = দুর্বল ও অসহায় ।
কেঁচে গন্ডুষ = পুনরায় শুরু করা ।
কেঁচে যাওয়া= পণ্ড হয়ে যাওয়া।

কেউকেটা – গণ্যমান্য, অসামান্য ।
কেবলা হাকিম = অনভিজ্ঞ ব্যক্তি ।
কেশ স্পর্শ করা = সামান্য অনিষ্ট করা ।
কেষ্ট-বিষ্টু= বিশিষ্ট ব্যক্তি।
কেস কেরোসিন= ব্যাপার গুরুতর।
ক্ষণ্ডপ্রলয় = তুমুল কাণ্ড ।
কড়ার ভিখারি= দীন।
কড়ি কপালে= ভাগ্যবান।


👉 Read More...👇