প্রবাদ-প্রবচন ৬/৭

ভরা পেটে সন্দেশে কয় ছুঁচোর গন্ধ- চাহিদা বা তৃপ্তি মিটে গেলে সুস্বাদু খাবারও বিস্বাদ মনে হয় ।
ভস্মে ঘি ঢালা- অর্থহীন অপব্যায়।
ভাই ভাই ঠাঁই ঠাঁই- নিকট আত্নীয়দের মধ্যে নিত্য কোন্দল।
ভাঙ্গবে তো মচকাবে না – দৃঢ়চিত্ত ব্যক্তি ক্ষতির ভয়ে ভীত হয় না।
ভাঙ্গা কপাল জোড়া লাগা- দুর্ভাগ্যের শেষ হওয়া।
ভাজা মাছটি উল্টে খেতে জানে না – কোন কাজেরই নয়, জানা বিষয়ে অজানার ভান করা।
ভাতারের নাই আদর, মুখে দেয় চাদর – স্বামীর সোহাগ না থাকলে একটি মেয়ের ভাল পোশাক পরে লাভ নেই।
ভানুমতির খেল – ভেলকিবাজি।
ভিক্ষা চাই না মা কুকুর সামলাও- বিপদ এড়াতে প্রয়োজনীয় কাজ পরিত্যাগ করা।
ভিমরুলে চাকে কাঠি দেওয়া – উত্তেজনায় ইন্ধন জোগানো, বিরুদ্ধবাদীদের খোঁচা দিয়ে উত্তেজিত করা।
ভূতের মুখে রামনাম – পাপীর ধর্মাচারণ, অসম্ভব ব্যাপার।
ভেক না ধরলে ভিক দিলে না- পেশা ও কাজের উপযোগী বেশভূষা দরকার হয়।
মজুরের কপালে খেজুরের চাটাই – দরিদ্র ব্যক্তির ভাগ্যে কম দামি জিনিসই জোটে।
মধু থাকলেই মৌমাছি- টাকা থাকলেই মোসাহেবরা চারপাশে ঘুরঘুর করে।
মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন – জীবনপণ চেষ্টা।
মহাভারত অশুদ্ধ হওয়া- ক্ষতি হওয়া।
মাছি মেরে হাত কালো করা- সামান্য লাভের জন্য অসম্মানের ভাগি হওয়া।
মাছের মায়ের পুত্র শোক – গুরুতর অপরাধীর মায়া কান্না।
মাছ চিনে গভীর জল পাখী চিনে উচু ডাল- নিজ নিজ পরিবেশ অনুযায়ী অভিজ্ঞতা লাভ হয়।
মাটিতে থাপ্পর পরলে, গুনাহগার চমকে উঠে। -চোরের মন পুলিশ পুলিশ -এর সমর্থক।
মাথার ঘায়ে কুকুর পাগল- বিষম বিপদে পড়ে পাগল হওয়া।
মাথা নেই তার আবার মাথা ব্যাথা- অকারণে দুশ্চিন্তা।
মারবো তো গন্ডার, লুটবো তো ভান্ডার- কোন কাজ করতে হলে বড় লক্ষ্য নিয়ে করা উচিত।
মারে ঠাকুর না মারে কুকুর-সবলকে সমীহ ও দুর্বলের প্রতি সমীহ।
মার চেয়ে মাসির দরদ-কপট মমতা।
মায়ের পেটে ভাত নেই বউয়ের চন্দ্রহার- মা কে উপেক্ষাকারী বউ পাগল ছেলে কে তিরস্কার!
মা নাই যার, না(নৌকা) নাই তার – মাতৃহীন সন্তানের দুরবস্থা ।
মা লক্ষ্মী চঞ্চল – ধনীদের পাখা গজায়।
মা’র চেয়ে দরদ যার তারে বলে ডাইনি – অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ।
মুঘল-পাঠান হদ্দ হল, ফারসি পড়েন তাতিঁ – পন্ডিতেরা যেখানে ব্যার্থ, মূর্খ লোক সেখানে হাস্যকর চেষ্টায় মাতে
মেও ধরে কে – (বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাধার গল্পে) দুরূহ কাজের মূল ঝুঁকির ব্যাপারটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
মেও/ম্যাও ধরা- তোষামোদ করা।
মেঘে মেঘে বেলা হওয়া- বয়স বেড়ে যাওয়া।
মেয়ে ত নয় আগুনের ফুলকি – মুখরা বা দস্যি মেয়ে বুঝাতে।
মোগলের সঙ্গে খানা খাওয়া- বেকায়দায় পড়ে লাঞ্চনা ও অপমান সহ্য করা।
যতক্ষণ শ্বাস ততক্ষণ আশ – জীবনের শেষ মুহূর্তেও মানুষ বাঁচার জন্য সংগ্রাম করে।
যত দোষ নন্দঘোষ- মূর্খকে বারবার দোষী সাব্যস্ত করা, অন্যদের সব অপরাধের দায়, একজনের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা।
যথা ধর্ম তথা জয়- ন্যায়ের পথেই সাফল্য আসে।
যদি হয় সুজন তেঁতুল পাতায় নয় জন- মিলেমিশে কাজ করলে অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়।
যম-জামাই-ভাগনা তিন নয় আপনা- রক্ত সুত্রে আত্মীয় না হলে আপন হয় না।
যার দউলতে রামের মা তারে তুমি চেননা- যার দ্বারা কার্য সম্পন্ন হয় তাঁকে মূল্যায়ন না করা।


👉 Read More...👇