প্রবাদ-প্রবচন ১/৭

অকর্মা নাপিতের ধামা ভরা ক্ষুর-অযোগ্যতা ঢাকার জন্য বাড়তি আয়োজন।
অতি চালাকের গলায় দড়ি – বেশি চালাকি করে অপরকে ঠকালে, নিজেকেও বিপদগ্রস্থ হতে হয়।
অতি দর্পে হত লঙ্কা – অহংকার করলে পতন আসবেই।
অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ – কপট ব্যক্তিরা বাহ্যিকভাবে ভক্তি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে।
অধিক সন্যাসীতে গাঁজন নষ্ট – বেশি লোক হলে কাজে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।
অনভ্যাসের ফোঁটা কপাল চড় চড় করে- অনেক সময় হঠাৎ করে আসা সুখ অসহ্য লাগে।
আপনা মাঁসে হরিণা বৈরী – হরিণের মাংসের লোভেই হরিণকে মানুষ বধ করে, তাই বলা যায়, মাংসই এর শত্রু।
অভাগা যেদিকে চায়, সাগর শুকিয়ে যায়- দূর্ভাগার সকল কাজেই ব্যর্থতা নেমে আসে।
অভাবে স্বভাব নষ্ট – অভাবে পড়লে ভাল মানুষও অসৎ হয়।
অল্প জলের লঙ্কা – ক্ষুদ্র প্রাণ, অল্প পুঁজির মানুষ।
অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী- স্বল্প জ্ঞানীর সাধ্যাতীত কর্মের পরিণতি মারাত্মক।
অসারের তর্জন গর্জন সার -গুণহীনের ব্যর্থ আস্ফালন,অক্ষম লোকের হাঁকডাক বেশি।
আঁতুরে নিয়মো নাস্তি- প্রয়োজন রীতিনীতি মানে না।
আইছেরে ভাই কলি কাল, ছাগিয়ে চাটে বাঘর গাল- অসামঞ্জস্য ।
আইজ বুঝবিনা বুঝবি কাইল বুক চাপরাব পারবি গাইল- কাউকে কোন বিষয়ে বার বার সাবধান করার পরেও না শোনা।
আইল দারুন বারিষা কাল, ছাইগ্যে চাটে বাঘর গাল । ব্যাখ্যাঃ- সময় খারাপ।কেয়ামতের আলামত।প্রবল শত্রু রাও মিত্র এখন!
আগে দর্শনদারী পরে গুণ বিচারী – বাহ্যিক সৌন্দর্য দ্বারাই মানুষ প্রথম আকৃষ্ট হয়।
আগে-পিছে লণ্ঠন, কাজের বেলা ঠন্‌ঠন্‌- আড়ম্বর ও আয়োজনে বাড়াবাড়ি, কিন্তু কাজের সময় ফাঁকি।
আঙুল ঘুরিয়ে পাঁচিল দেওয়া – বাঁকাভাবে কাজ করা।
আঙ্গুর ফল টক -পান না তাই খান না।
আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ – অবিশ্বাস্য উন্নতি।
আটে-পিঠে দর, তো ঘোরার পিঠে চড়-যোগ্যতা অর্জন করেই কাজে নামা উচিত।
আতি চোর পাতি চোর, হতে হতে সিঁদেল চোর- ছোট খাট অন্যায় করতে করতে বড় ধরনের অন্যায় করতে শেখা।
আত্মা রেখে ধর্ম- আপনি বাঁচলে বাপের নাম।
আদার বেপারীর জাহাজের খবর- অনধিকার চর্চা, সামান্য কাজের লোক।
আদ্যিকালের বদ্যি বুড়ো – খুব প্রাচীন ব্যক্তি।
আপনার মান আপনার কাছে – নিজেকে নিজে সম্মান করলে অন্যের সম্মান পাওয়া যা।
আপনি আচরি ধর্ম অপরে শিখাও -যা নিজে মান না, তা অপরকে শিখাবে না।
আপনি বাঁচলে বাপের নাম -নিজের স্বার্থ রক্ষা করা, আগে আত্মচিন্তা পরে পিত্ররশ্রদ্ধা/ আত্মা রেখে ধর্ম ।
আপনি শুতে ঠাঁই নেই, শঙ্করাকে ডাকে-অন্যের দয়ায় জীবন ধারণ করে আবার অন্যকে সাহায্য করার চেষ্টা।
আপন কোলে ঝোল টানা- নিজের স্বার্থকেই বড় করে দেখা।
আপন চেয়ে পর ভালো- অপ্রত্যাশিত কারো সাহায্য লাভ।
আপন নাক কেটে পরের যাত্রা নষ্ট করা- অপরের অনিষ্ট সাধনের জন্য নিজের ক্ষতি স্বীকার করা।
আপন পাঁজি পরকে দিয়ে দৈবজ্ঞ বেড়ায় পথে পথে- অন্যের উপকার করতে গিয়ে নিজের ক্ষতি করে ফেলা।
আপন পায়ে কুড়াল মারা – নিজের ক্ষতি নিজে করা।
আপন বুদ্ধি ছিলো ভালো, পর বুদ্ধিতে পাগল হলো- নিজের বুদ্ধিতে কাজ না করে, পরের বুদ্ধির উপর ভরসা করে বিপদে পরা।
আপন ভালো ত জগৎ ভালো – নিজে ভালো হলে জগৎ সংসারসহ সবকিছু ভালো লাগে।
আপন হাত জগন্নাথ, পরের হাত এঁটো পাত- নিজের শক্তিই সবচেয়ে বড় শক্তি।
আপ ভালা তো জগৎ ভালা -নিজে ভাল হলে সকলই ভাল হয়।
আমি যার করি আশ সেই করে সর্বনাশ- কারও কাছে ফল প্রাপ্তির আশা করে বিফল হওয়া।
আমড়াগাছি করা – বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য তোষামোদ করা।
আমড়া গাছে আম হয় না -মন্দ লোকের কাছে ভাল ব্যবহার আশা করা যায় না।


👉 Read More...👇