BCS-Solution

খণ্ড বাক্য

একটি সরল বা সম্প্রসারিত উদ্দেশ্য এবং সরল বা সম্প্রসারিত বিধেয় ক্রিয়ার(সমাপিকা) সমষ্টি যদি নিজে একটি স্বাধীন বাক্য হিসাবে ব্যবহৃত না হয়ে অন্য কোন বৃহত্তর বাক্যের অংশরূপে ব্যবহৃত হয়, তাহলে তাকে খণ্ড বাক্য বলে।
বৈশিষ্ট

-একটি মাত্র সমাপিকা ক্রিয়া থাকে।
-অন্য একটি বাক্যের অংশরূপে ব্যবহৃত হয়।

আশ্রিত খণ্ডবাক্য তিন প্রকার :

(ক) বিশেষ্য স্থানীয় আশ্রিত খণ্ডবাক্য,
(খ) বিশেষণ স্থানীয় আশ্রিত খণ্ডবাক্য,
(গ) ক্রিয়া বিশেষণ স্থানীয় আশ্রিত খণ্ডবাক্য।

ক. বিশেষ্য স্থানীয় আশ্রিত খণ্ডবাক্য (Noun clause): যে আশ্রিত খণ্ডবাক্য (Subordinate clause) প্রধান খণ্ডবাক্যের যে কোনো পদের আশ্রিত থেকে বিশেষ্যের কাজ করে, তাকে বিশেষ্যস্থানীয় আশ্রিত খণ্ডবাক্য বলে। যথা : –
আমি মাঠে গিয়ে দেখলাম, খেলা শেষ হয়ে গিয়েছে। (বিশেষ্য স্থানীয় খণ্ডবাক্য ক্রিয়ার কর্মরূপে ব্যবহৃত)
তদ্রুপ : তিনি বাড়ি আছেন কি না, আমি জানি না। ব্যাপারটি নিয়ে ঘাটাঘাটি করলে ফল ভালো হবে না।

(খ) বিশেষণ স্থানীয় আশ্রিত খণ্ডবাক্য (Adjective clause): যে আশ্রিত খণ্ডবাক্য প্রধান খণ্ডবাক্যের অন্তর্গত কোনো বিশেষ্য বা সর্বনামের দোষ, গুণ এবং অবস্থা প্রকাশ করে, তাকে বিশেষণ স্থানীয় আশ্রিত খণ্ডবাক্য বলে। যথা : -লেখাপড়া করে যেই, গাড়ি ঘোড়া চড়ে সেই। (আশ্রিত বাক্যটি ‘সেই সর্বনামের অবস্থা প্রকাশ করছে)।
তদ্রুপ : ‘খাঁটি সোনার চাইতে খাটি, আমার দেশের মাটি’। ‘ধনধান্য পুষ্পে ভরা, আমাদের এই বসুন্ধরা। যে এ সভায় অনুপস্থিত, সে বড় দুর্ভাগা।

(গ) ক্রিয়া-বিশেষণ স্থানীয় খণ্ডবাক্য (Adverbial clause): যে আশ্রিত খণ্ডবাক্য ক্রিয়াপদের স্থান, কাল ও কারণ নির্দেশক অর্থে ব্যবহৃত হয় তাকে ক্রিয়া-বিশেষণ স্থানীয় আশ্রিত খণ্ডবাক্য বলে। যেমন –
‘যতই করিবে দান, তত যাবে বেড়ে। তুমি আসবে বলে আমি অপেক্ষা করছি। যেখানে আকাশ আর সমুদ্র একাকার হয়ে গেছে, সেখানেই দিকচক্রবাল।

Exit mobile version