কর্ম কারক

বিগত সালের BCS Preliminary- তে এখান থেকে প্রশ্ন এসেছে টি।

যাকে অবলম্বন করে কর্তা ক্রিয়া সম্পাদন করে, তাকে ক্রিয়ার কর্ম বা কর্মকারক বলে। ক্রিয়াকে ‘কী/ কাকে’ দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, সেটিই কর্ম। আর কর্মের কারকে কর্মকারক বলে।

কর্ম দু ধরনের

ক. মুখ্য কর্মঃ বস্তুবাচক কর্মকে মুখ্য কর্ম বলে।
খ. গৌণ কর্মঃ ব্যক্তিবাচক কর্মকে গৌণ কর্ম বলে।
যেমন- বাবা আমাকে একটি কলম দিয়েছেন। বাক্যটিতে ‘আমাকে’ গৌণ কর্ম এবং ‘কলম’ মুখ্য কর্ম। সাধারণত কর্মকারকের গৌণ কর্মে বিভক্তি যুক্ত হয়, মুখ্য কর্মে হয় না।

কর্ম কারকের প্রকারভেদ

ক) সকর্মক ক্রিয়ার কর্ম: নাসিমা ফুল তুলছে।
খ) প্রযোজক ক্রিয়ার কর্ম: ছেলেটিকে বিছানায় শোয়াও।
গ) সমধাতুজ কর্ম: খুব এক ঘুম ঘুমিয়েছি।
ঘ) উদ্দেশ্য ও বিধেয় কর্ম: দ্বিকর্মক ক্রিয়ার দুটি দুটি পরস্পর অপেক্ষিত কর্মপদ থাকলে প্রধান কর্মপদটিকে বলা হয় উদ্দেশ্য কর্ম এবং অপেক্ষিত কর্মটিকে বলা হয় বিধেয় কর্ম। যেমন: দুধকে (উদ্দেশ্য কর্ম) মোরা দুগ্ধ (বিধেয় কর্ম) বলি, হলুদকে (উদ্দেশ্য কর্ম) বলি হরিদ্রা (বিধেয় কর্ম)।

বাচ্যভেদে কর্ম

কর্তৃ বাচ্যের কর্মঃ আমি চিঠি লিখি।
কর্ম বাচ্যের কর্মঃ চিঠিটি লিখিত হয়েছে।

কর্ম কারকে বিভিন্ন বিভক্তির ব্যবহার

(ক) প্রথমা বা শূণ্য বা অ বিভক্তি
ডাক্তার ডাক।
ঘোড়া গাড়ি টানে।
সর্বাঙ্গে ব্যথা, ঔষধ দিব কোথা। (২৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি)
আমাকে একখানা বই দাও। (দ্বিকর্মক ক্রিয়ার মুখ্য কর্ম)
রবীন্দ্রনাথ পড়লাম, নজরুল পড়লাম, এর সুরাহা পেলাম না। (গ্রন্থ অর্থে বিশিষ্ট গ্রন্থকার প্রয়োগে)
অর্থ অনর্থ ঘটায়।
আমার ভাত খাওয়া হলো না।
সূর্য উঠলে অন্ধকার দূর হয়।

(খ) দ্বিতীয়া বা কে বিভক্তি
তাকে আমি চিনি।
ধোপাকে কাপড় দাও।
আমাকে একখানা বই দাও। (দ্বিকর্মক ক্রিয়ার গৌণকর্ম)
ধনী দরিদ্রকে ঘৃণা করে।
শিক্ষককে শ্রদ্ধা করিও।
আমারে তুমি করিবে ত্রাণ, এ নহে মোর প্রার্থনা।’

(ঙ)ষষ্ঠী বা র বিভক্তি
তোমার দেখা পেলাম না।
দেশের সেবা কর।

(চ) সপ্তমী বা এ বিভক্তি
কাজে মন দাও।
গুরুজনে করো ভক্তি/ নতি।
সর্বশিষ্যে জ্ঞান দেন গুরু মহাশয়।
‘জিজ্ঞাসিবে জনে জনে।’ (বীপ্সায়=কোনো শব্দের বারংবার প্রয়োগ)

Add a Comment