প্রবাদ-প্রবচন ৪/৭

জোঁকের মুখে নুনের ছিটা- দুষ্টু লোকের উপযুক্ত মোকাবেলা।
ঝাঁকের কই ঝাঁকে মেশা- দলছুটের পুনরায় দলে প্রত্যাবর্তন।
টোটো কম্পানির ম্যানেজার- কোন কাজ না করে বেকার বা ভবঘুরের মত থাকা।
ঠগ বাছতে গাঁ উজার – যেখানে মন্দের সংখ্যা বেশি সেখানে ভালো বাছা যায় না ।
ঠাকুর ঘরে কে? না, আমি কলা খাই নি- নির্বুদ্ধিতা, চালাকি ধরা পড়া।
ঠেকে শেখা আর দেখে শেখা – বাস্তব অভিজ্ঞতা জ্ঞানীর চেয়ে ভালো শিক্ষা দেয়,মূর্খ কষ্ট পেয়ে শেখে, বুদ্ধিমান অন্যের অভিজ্ঞতার ফল দেখে শেখে।
ঠেলার নাম বাবাজি-বাধ্য হয়ে নতি স্বীকার করা।
ঠেলেয় পড়ে ঢেলায় সেলাম- বিপদে পড়ে তুচ্ছ লোককেও খাতির করা।
ডানায় ভর দিয়ে চলা- শুন্যলোকে ভেসে বেড়ানো।
ঢাকি সুদ্ধ বিসর্জন- সমস্ত ব্যাপারের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করা।
ঢাক ঢাক গুড় গুড় – লুকোচুরি । (১৪তম বিসিএস প্রিলিমিনারি)
ঢাক থুয়ে চণ্ডীপাঠ – হীন ব্যক্তির মহৎ কাজের চেষ্টা।
ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার- যোগ্যতা বা ক্ষমতাহীনের আড়ম্বর।
ঢেঁকির শব্দ বড়- ভিতরে যার কিছুই নেই তার বাজে বেশি।
ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে – অদৃষ্ট সঙ্গে সঙ্গে যায়।
তাল পাতার সৈন্য/ গৃহবাসী সৈন্য – ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার।
তুমি যাবে বঙ্গে কপাল যাবে সঙ্গে – যা হবার তাই হবে।
তেল কম ভাজা মচ মচ-আয়োজনের স্বল্পতা থাকলেও প্রত্যাশা বেশী হওয়া।
থর বড়ি খাঁড়া, খাঁড়া বরি থোর- বিরক্তিকর পুনরাবৃত্তি।
দক্ষিনে হাওয়া দেওয়া- তেলে মাথায় তেল দেওয়া।
দশ চক্রে ভগবান ভূত- দশজনের চক্রান্তে ন্যায়কে অন্যায় করা।
দৈত্যকুলে প্রহ্লাদ – যার চরিত্র বা আচরণ বংশের ধারার বিপরীত। ব্যাখ্যাঃ প্রহ্লাদের পিতা হিরণ্যকশিপু ছিলেন ঈশ্বর ভক্ত অপরদিকে প্রহ্লাদ ঈশ্বর বিরোধী, তাই দৈত্যকুলে প্রহ্লাদ একেবারেই খাপ খায় না।
ধরাকে সরা জ্ঞান করা- সব কিছুকে তুচ্ছ ভাবা।
ধরি মাছ না ছুঁই পানি- বুদ্ধির জোরে কষ্ট এড়িয়ে কার্যসিদ্ধি।
ধর্মের ঢাক আপনি বাজে- পাপ কোন দিন চাপা থাকে না।
ধারে না হলে ভারে কাটে-কোন না কোনভাবে কার্যসিদ্ধি।
ধুলো মুঠি ধরলে সোনা মুঠি হয়- ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে অল্পতেই বিরাট সাফল্য আসে।
ধেনো হাটে ওল নামানো- ধান ভানতে শিবের গীত।
ধেরের আশির্বাদে বিল শুকায় না- শকুনের দোয়ায় গরু মরে না।
নতুন নতুন খই এর মোয়া মচ মচ করে-শুরুতে সব বিষয়ের প্রতি মানুষের উৎসাহ বেশী বেশী থাকে।
নাকের বদলে নরুণ-যা প্রাপ্য তার চেয়ে অনেক কম পাওয়া।
নাচতে দাঁড়িয়ে ঘোমটা টানা- কৃত্রিম লজ্জা, কাজে নেমে লজ্জায় পিছিয়ে যাওয়া।
নুন আনতে পান্তা ফুরায় – টানাটানির সংসার।
নেংটির আবার বখেয়া সেলাই- বখেয়া অর্থ সেলাইয়ের একপ্রকার ফোঁড়। প্রবাদটির অর্থ দরিদ্রের বিলাসিতা সাজে না।
নেই কাজ তো খই ভাজ – প্রয়োজনীয় বিষয়ের অভাবে অপ্রয়োজনীয় কাজে শক্তি নাশ করা।
নয় মন তেলও পুড়বে না রাধা ও নাচবে না- যা কখনও সম্ভব নয়।
পঁচা শামুকে পা কাটা- তুচ্ছ কারণে বিপন্ন হওয়া।
পরকাল ঝরঝরে করে দেওয়া- সর্বনাশ করা।
পরের ঘাড়ে বন্দুক রেখে শিকার করা – অন্যের উপর নির্ভর হয়ে কাজ করা।
পরের মুখে ঝাল খাওয়া – অন্যের কথা বিশ্বাস করে কাজ করা।
পাইলাম থালে দিলাম গালে পাপ নাই তার কোন কালে -পড়ে পাওয়া জিনিস এর কোন মালিকানা নেই , যেই পাবে সেই নেবে ।
পাইয়া পরার ধন, বাপে পুতে করে কীর্তন- পরের ধনে পোদ্দারি।


👉 Read More...👇