পদের দ্বিরুক্তি
|১. দুটি পদে একই বিভক্তি প্রয়োগ করা হয়, শব্দ দুটি ও বিভক্তি অপরিবর্তিত থাকে। যেমন- ঘরে ঘরে লেখাপড়া হচ্ছে। দেশে দেশে ধন্য ধন্য করতে লাগল। মনে মনে আমিও এ কথাই ভেবেছি।
২. দ্বিতীয় পদের আংশিক ধ্বনিগত পরিবর্তন ঘটে, কিন্তু পদ-বিভক্তি অবিকৃত থাকে। যেমন- চোর হাতে নাতে ধরা পড়েছে। আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে।।
পদের দ্বিরুক্তির প্রয়োগ
(ক) বিশেষ্য শব্দযুগলের বিশেষণরূপে ব্যবহার
১. আধিক্য বোঝাতে: রাশি রাশি ধন, ধামা ধামা ধান।
২. সামান্য বোঝাতে: আমি আজ জ্বর জ্বর বোধ করছি।
৩. পরস্পরতা বা ধারাবাহিকতা বোঝাতে : তুমি দিন দিন রোগা হয়ে যাচ্ছ। তুমি বাড়ি বাড়ি হেঁটে চাঁদা তুলেছ।
৪. ক্রিয়া বিশেষণ: ধীরে ধীরে যায়, ফিরে ফিরে চায়।
৫. অনুরূপ কিছু বোঝাতে: তার সঙ্গী সাথী কেউ নেই।
৬. আগ্রহ বোঝাতে: ও দাদা দাদা বলে কাঁদছে।
২. সামান্য বোঝাতে: আমি আজ জ্বর জ্বর বোধ করছি।
৩. পরস্পরতা বা ধারাবাহিকতা বোঝাতে : তুমি দিন দিন রোগা হয়ে যাচ্ছ। তুমি বাড়ি বাড়ি হেঁটে চাঁদা তুলেছ।
৪. ক্রিয়া বিশেষণ: ধীরে ধীরে যায়, ফিরে ফিরে চায়।
৫. অনুরূপ কিছু বোঝাতে: তার সঙ্গী সাথী কেউ নেই।
৬. আগ্রহ বোঝাতে: ও দাদা দাদা বলে কাঁদছে।
(খ) বিশেষণ শব্দযুগলের বিশেষণ রূপে ব্যবহার
১. আধিক্য বোঝাতে: ভালো ভালো আম নিয়ে এসো। ছোট ছোট ডাল কেটে ফেল। পাকা পাকা আম (১০তম বিসিএস প্রিলিমিনারি)
২. তীব্রতা বা সঠিকতা বোঝাতে : গরম গরম জিলাপি, নরম নরম হাত।
৩. সামান্যতা বোঝাতে : উড়ু উড়ু ভাব; কালো কালো চেহারা।
২. তীব্রতা বা সঠিকতা বোঝাতে : গরম গরম জিলাপি, নরম নরম হাত।
৩. সামান্যতা বোঝাতে : উড়ু উড়ু ভাব; কালো কালো চেহারা।
(গ) সর্বনাম শব্দ বহুবচন বা আধিক্য বোঝাতে : কে কে এলো? কেউ কেউ বলে।
(ঘ) ক্রিয়াবাচক শব্দ
১. বিশেষণ রূপে: এদিকে রোগীর তো যায় যায় অবস্থা। তোমার নেই নেই ভাব গেল না।
২. স্বল্পকাল স্থায়ী বোঝাতে: দেখতে দেখতে আকাশ কালো হয়ে এলো।
৩. ক্রিয়া বিশেষণ: দেখে দেখে যেও। ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে শুনলে কীভাবে?
৪. পৌনঃপুনিকতা বোঝাতে : ডেকে ডেকে হয়রান হয়েছি।
২. স্বল্পকাল স্থায়ী বোঝাতে: দেখতে দেখতে আকাশ কালো হয়ে এলো।
৩. ক্রিয়া বিশেষণ: দেখে দেখে যেও। ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে শুনলে কীভাবে?
৪. পৌনঃপুনিকতা বোঝাতে : ডেকে ডেকে হয়রান হয়েছি।
(ঙ) অব্যয়ের দ্বিরুক্তি
১. ভাবের গভীরতা বোঝাতে: তার দুঃখ দেখে সবাই হায় হায় করতে লাগল। ছি ছি, তুমি কী করেছ?
২. পৌনঃপুনিকতা বোঝাতে: বার বার সে কামান গর্জে উঠল।
৩. অনুভূতি বা ভাব বোঝাতে : ভয়ে গা ছম ছম করছে। ফেঁড়াটা টন টন করছে।
৪. বিশেষণ বোঝাতে: পিলসুজে বাতি জ্বলে মিটি মিটি।
৫. ধ্বনিব্যঞ্জনা: ঝির ঝির করে বাতাস বইছে। বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর।
২. পৌনঃপুনিকতা বোঝাতে: বার বার সে কামান গর্জে উঠল।
৩. অনুভূতি বা ভাব বোঝাতে : ভয়ে গা ছম ছম করছে। ফেঁড়াটা টন টন করছে।
৪. বিশেষণ বোঝাতে: পিলসুজে বাতি জ্বলে মিটি মিটি।
৫. ধ্বনিব্যঞ্জনা: ঝির ঝির করে বাতাস বইছে। বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর।
পদাত্মক দ্বিরুক্তি
বিভক্তিযুক্ত পদের দুইবার ব্যবহারকে পদাত্মক দ্বিরুক্তি বলা হয়। এগুলো দুই রকমে গঠিত হয়। যেমন
১. একই পদের অবিকৃত অবস্থায় দুইবার ব্যবহার। যথা – ভয়ে ভয়ে এগিয়ে গেলাম। হাটে হাটে বিকিয়ে তোর ভরা আপণ।
২. যুগ্মরীতিতে গঠিত দ্বিরক্ত পদের ব্যবহার। যথা— হাতে নাতে, আকাশে-বাতাসে, কাপড়-চোপড়, দলে বলে ইত্যাদি।
২. যুগ্মরীতিতে গঠিত দ্বিরক্ত পদের ব্যবহার। যথা— হাতে নাতে, আকাশে-বাতাসে, কাপড়-চোপড়, দলে বলে ইত্যাদি।
বিশিষ্টার্থক বাগধারায় দ্বিরুক্ত শব্দের প্রয়োগ
ছেলেটিকে চোখে চোখে রেখো। (সতর্কতা)
ফুলগুলো তুই আনরে বাছা বাছা। (ভাবের প্রগাঢ়তা)
থেকে থেকে শিশুটি কাঁদছে। (কালের বিস্তার)
লোকটা হাড়ে হাড়ে শয়তান। (আধিক্য)
খাঁচার ফাঁকে ফাঁকে, পরশে মুখে মুখে, নীরবে চোখে চোখে যায়।
ফুলগুলো তুই আনরে বাছা বাছা। (ভাবের প্রগাঢ়তা)
থেকে থেকে শিশুটি কাঁদছে। (কালের বিস্তার)
লোকটা হাড়ে হাড়ে শয়তান। (আধিক্য)
খাঁচার ফাঁকে ফাঁকে, পরশে মুখে মুখে, নীরবে চোখে চোখে যায়।