BCS-Solution

অপাদান-অধিকরণ কারকের পার্থক্য

অপাদান ও অধিকরণ কারক আলাদা করতে গিয়ে অনেকেরই সমস্যা হয়। অপাদান ও অধিকরণ কারককে আলাদা করে চেনার সহজ উপায় হলো, অপাদান কারক থেকে কোন কিছু বের হওয়া বোঝায়। আর অধিকরণ কারকের মাঝেই ক্রিয়া সম্পাদিত হয়।

যেমন- ‘তিলে থেকে তেল হয়’ আর ‘তিলে তেল আছে’।

প্রথম বাক্যে তিলের ভেতর ক্রিয়া সংঘটিত হয়নি। বরং তিল থেকে তেল বের হওয়ার কথা বোঝাচ্ছে। ফলে এটি অপাদান কারক। আর দ্বিতীয় বাক্যে তিলের ভেতরই তিল থাকার কথা বলছে। এই ‘আছে’ ক্রিয়াটি তিলের ভেতরে থেকেই কাজ করছে। তাই এটি অধিকরণ কারক।

এরকম আরও কিছু উদাহরণ
বিপদ থেকে বাঁচাও- অপাদান কারক
বিপদে বাঁচাও- অধিকরণ কারক
শুক্তি থেকে মুক্তি মেলে- অপাদান কারক
শুক্তিতে মুক্তি হয়- অধিকরণ কারক
জমি থেকে ফসল পাই- অপাদান কারক
জমিতে ফসল হয়- অধিকরণ কারক

অধিকাংশ ক্ষেত্রে অপাদান কারকের সাথে অধিকরণের একটি নিবিড় সম্পর্ক লক্ষ্য করা যায়। যেমন–
১. স্থানবাচক অপাদান : ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরলাম। [‘ঢাকা’ স্থান, কিন্তু কারকের বিচারে ‘ঢাকা থেকে’ অপাদান]
২. কাল বাচক অপাদন : সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। [‘সকাল’ কাল বা সময়, কিন্তু কারকের বিচারে ‘সকাল থেকে’ অপাদান]
৩. আধার বাচক অপাদান : তিল থেকে তেল হয়। [‘তিল’ আধার বা পাত্র, কিন্তু কারকের বিচারে ‘তিল থেকে’ অপাদান]

এছাড়া তারতম্যের বিচারে অপাদান হয়। যেমন– আমার চেয়ে সে চালাক।

একটি মজার বিষয়ঃ

Exit mobile version