আলালের ঘরের দুলাল বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম উপন্যাস। প্যারীচাঁদ মিত্র ওরফে টেকচাঁদ ঠাকুর ১৮৫৭ সালে এটি রচনা করেন। কলকাতার সমকালীন সমাজ এর প্রধান বিষয়বস্তু। উচ্চবিত্ত ঘরের আদুরে সন্তান মতিলালের উচ্ছৃঙ্খল জীবনাচার এতে বর্ণিত হয়েছে। ‘ঠকচাচা’ এর অন্য একটি প্রধান চরিত্র। অন্যান্য চরিত্রের মধ্যে বাঞ্চারাম ও বাবু রাম বাবু।
বিশিষ্ঠ গ্রন্থকার আবু ইসহাক এর ১৯৫৫ সালে প্রকাশিত কালজয়ী উপন্যাস সূর্য দীঘল বাড়ী। বাংলা ১৩৫০ সনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে অবিভক্ত ভারতের বাংলায় ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে ‘পঞ্চাশের আকাল’ নামে যে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল তাতে বহু লক্ষ দরিদ্র মানুষ প্রাণ হারায়। যারা কোনমতে শহরের লঙ্গরখানায় পাত পেতে বাঁচতে পেরেছিল তাদেরই একজন একালের সময় স্বামী পরিত্যক্ত জয়গুন।
মৃত্যুঞ্জয় তর্কালঙ্কার (১৭৬২ – ১৮১৯) ছিলেন ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের প্রথম হেড পণ্ডিত। তিনি একাধিক পাঠ্যপুস্তক রচনা করেন। তাঁকে বাংলা গদ্যের প্রথম ‘সচেতন শিল্পী’ মনে করা হয়। তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ
i. বত্রিশ সিংহাসন(১৮০২)
ii. হিতোপদেশ(১৮০৮)
iii. রাজাবলী(১৮০৮)
iv. বেদান্ত চন্দ্রিকা(১৮১৭)
v. প্রবোধচন্দ্রিকা(১৮১৩)
১৮০১ সালের ২৪ নভেম্বরে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে বাংলা বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হয়। কলেজ কর্তৃপক্ষ শ্রীরামপুরের ব্যাপটিস্ট মিশনের উইলিয়াম কেরীকে এই বিভাগে নিয়োগ করেন। কেরি, মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কারকে হেড পণ্ডিত, রামমোহন বাচস্পতিকে সেকেন্ড পণ্ডিত ও রামরাম বসুকে অন্যতম সহকারী পণ্ডিতের পদে নিয়োগ করেন।
প্রথম মোবাইল ব্যাংকিং শুরু করে- ডাচ-বাংলা ব্যাংক।
প্রথম বেসরকারী ব্যাংক- আরব-বাংলাদেশ ব্যাংক
প্রথম ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহীতা সুফিয়া বেগম, গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করেন।
১ম ইসলামী ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক বিডি লি:
গ্রামীণ ব্যাংক বাংলাদেশের একটি ক্ষুদ্রঋণ(Microcredit) প্রদানকারী সংস্থা। এর প্রতিষ্ঠাতা ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস। ১৯৭৬ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯৮৩ সালে এটি একটি বৈধ এবং স্বতন্ত্র ব্যাংক হিসেবে যাত্রা শুরু করে।
১৯৮৬ সালের সেপ্টেম্বরে আলোচনা শুরু হয় শেষ হয় ১৯৯৪ সালে। ১৯৪৭ সালে সৃষ্ট GATT এর বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা, নতুন কিছু জটিলতা ও যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতানৈক্যের কারনে এ দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়। কোন সমস্যা না থাকলে সম্মেলনটি শেষ হওয়ার কথা ছিল ১৯৯০ সালে।
তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ছিল ব্রাহ্মসমাজের তত্ত্ববোধিনী সভার মুখপত্র। ব্রাহ্মধর্মের প্রচার এবং তত্ত্ববোধিনী সভার সভ্যদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষার উদ্দেশ্যে ১৮৪৩ সালের ১৬ আগস্ট অক্ষয়কুমার দত্তের সম্পাদনায় তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা প্রথম প্রকাশিত হয়। এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর । ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত -প্রভাকর, সংবাদ রত্নাবলী। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – বঙ্গদর্শন (১৮৭২ )
ক্রিয়ার পারস্পরিক অর্থে ব্যতিহার বহুব্রীহি হয়। এ সমাসে পূর্বপদে ‘আ’ এবং উত্তরপদে ‘ই’ যুক্ত হয়। যথা : হাতে হাতে যে যুদ্ধ = হাতাহাতি, কানে কানে যে কথা = কানাকানি। লাঠিতে লাঠিতে যে যুদ্ধ= লাঠালাঠি।
নবান্ন শব্দটি সমাসের মাধ্যমে গঠিত হয়েছে।
নতুন(নব) ধানের অন্ন= নবান্ন। এখানে নবান্ন শব্দটি দ্বারা ‘নব’ বা ‘অন্ন’ কাউকে না বুঝিয়ে একটি উৎসব কে বুঝাচ্ছে। হেমন্ত ঋতুতে ধান কাটার পর অগ্রহায়ণ মাসে পালিত একটি অনুষ্ঠান। তাই এটি বহুব্রীহি সমাস। আবার ‘নতুন’- বিশেষণ এবং ‘অন্ন’ বিশেষ্য হওয়ায় এটি সমানাধিকরণ বহুব্রীহি।
আবার-
নতুন ধানের যে অন্ন= নবান্ন, এটি কর্মধারয় সমাসের উদাহরণ। এখানে অনুষ্ঠানকে না বুঝিয়ে নতুন অন্নকে বুঝাচ্ছে। প্রথম পদ ‘নতুন’ এর অর্থ প্রাধান্য নে পেয়ে ‘অন্ন’-এর অর্থ প্রাধান্য পাচ্ছে।
সমাসের মাধ্যমে শব্দটি গঠিত হলে এর সন্ধি বিচ্ছেদ করা যায়- নব+অন্ন= নবান্ন।
মৌলিক ধাতুর পর ‘আ’ প্রত্যয় যুক্ত হয়ে প্রযোজক ধাতু ও কর্মবাচ্যের ধাতু সাধিত হয়। প্রযোজক ধাতুর উদাহরণ যেমন কর্ + আ= করা,(রহিম তার ছোট ভাইকে দিয়ে কাজ করায়, রহিম নিজে না করে কাজটির কাজটির প্রযোজনা করছে), আবার কর্মবাচ্যের উদাহরণ হিসাবে- হার্+আ=হারা। এখানে ‘হারায়’ কর্মবাচ্যের ধাতু হলে ও গঠনগত দিক(আ যুক্ত হয়ে) ও অর্থ প্রকাশের দিক দিয়ে (প্রযোজনা অর্থে) তা প্রযোজক ধাতুরই অন্তর্গত। তাই ‘হারায়’ প্রযোজক ধাতু। বিস্তারিত দেখুন ধাতু।
মিশ্র বা জটিল বাক্যগুলো তে,যা-তা, যে-সে, যিনি-তিনি, যারা-তারা, যেমন-তেমন,যেইনা-অমনি, যেহেতু-সেহেতু/সেজন্য, যদি-তবে, সে-যে, যেই-সেই, যখন-তখন, যদিও, তাহলে, তাহা হইলে ইত্যাদি যুক্ত থাকে।