বিদ্রোহের বহুমাত্রা

কাজী নজরুল ইসলাম এক বাঁধভাঙা প্রতিভা। লেখালেখিতে যেমন ছিলেন বিদ্রোহী, তেমনি তাঁর জীবনও হাঁটেনি চেনা পথে। লেখালেখি ও জীবনযাপন মিলিয়ে ছিলেন ব্যতিক্রমী। নজরুলজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজন
প্রবন্ধেও কাজী নজরুল ইসলাম ‘বিদ্রোহী’। এই অভিধা তাঁকে সংকুচিত করে রাখে কি না, সেটা ভিন্ন তর্ক; কিন্তু ‘ধূমকেতুর মামলা’য় তিনি নিজেকে ‘বিদ্রোহী কবি’ হিসেবেই উল্লেখ করেছেন: ‘শুনেছি, আমার বিচারক একজন কবি। শুনে আনন্দিত হয়েছি। বিদ্রোহী কবির বিচার বিচারক কবির নিকট’ (রাজবন্দীর জবানবন্দী)। আদালতে দাখিলকৃত এই জবানবন্দী ১৯২৩ সালের ৭ জানুয়ারি লেখা। এর আগে লেখা ও কাছাকাছি সময়ে প্রকাশিত যুগবাণী (অক্টোবর ১৯২২) এবং পরে প্রকাশিত ও কাছাকাছি সময়ে লেখা দুর্দিনের যাত্রী (অক্টোবর ১৯২৬) কিংবা রুদ্র-মঙ্গল (১৯২৭) প্রবন্ধগ্রন্থের মূল সুর কিন্তু বিদ্রোহের। পরবর্তী সময়ে লেখা কিছু অভিভাষণ বাদ দিলে নজরুলের প্রবন্ধসমূহ মূলত এই তিন বইয়ের মধ্যেই সীমিত। অতএব, কবির লেখনীতে উচ্চারিত ‘বিদ্রোহী’ অভিধাকে আমরা তাঁর মৌল-প্রবণতা হিসেবে মেনে নিয়ে আলোচনা শুরু করতে পারি। নজরুলের এক বিদ্রোহী-সত্তার অভ্যন্তরেও বহুমাত্রা লক্ষ করা যায়—উপনিবেশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, জাত-পাত ও ধর্মীয় বিভাজনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য বিদ্রোহ এবং সর্বোপরি অসত্য-অসুন্দর-অমঙ্গলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ। তাঁর গদ্যে চেতনার বহুমাত্রিকতা সরাসরি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই আলোচনায় মূলত নজরুলের গদ্যে বিদ্রোহের মাত্রাসমূহ অনুসন্ধান করা হবে।
২.
নজরুল প্রসঙ্গে বুদ্ধদেব বসু লিখছেন: ‘গদ্যলেখক হ’য়ে তিনি জন্মাননি, কিন্তু গদ্যও তিনি লিখেছেন এবং গদ্যে যে তাঁর অতিমুখর মনের বিশৃঙ্খলা সবচেয়ে দুঃসহ হ’য়ে প্রকাশ পাবে, সে তো অনিবার্য’ (‘নজরুল ইসলাম’; কালের পুতুল)। এই মন্তব্য ১৯৪৪ সালের। নজরুল তত দিনে বাকস্তব্ধ; কিন্তু কবিতা ও গানে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে অবস্থান নিয়েছেন—অতি-অবশ্যই ছাড়িয়ে গেছেন তাঁর প্রবন্ধকে। কিন্তু তাই বলে তাঁর গদ্যকে ‘অতিমুখর মনের অসংযত বিশৃঙ্খলা’ বলা যাবে না। পুনঃ পুনঃ রূপক-উপমা-উৎপ্রেক্ষার ব্যবহার, শব্দালংকারের ‘কানে বাজার মতো’ ঝনঝনানি, পুরাণের প্রাসঙ্গিক প্রয়োগ, গদ্যে চিত্রকল্পের অবতারণা, গান-গল্প-কবিতা ও কাহিনির সংযোগ, কিংবা শব্দ ও বিশিষ্টার্থক বাক্যাংশের দ্ব্যর্থ প্রয়োগ নজরুল-গদ্যের লক্ষযোগ্য বৈশিষ্ট্য। এসব উপাদান তাঁর গদ্যকে আলাদা করে চিনিয়ে দেয়। শক্তিমান গদ্য-লেখকেরাই পারেন নিজেদের আলাদা করে চিনিয়ে দেওয়ার জন্য বিষয়ভাবনা প্রকাশের উপযোগী একটা বিশেষ ভাষাকাঠামো তৈরি করতে।
১৯২০ সালে নজরুল ইসলাম সান্ধ্য-দৈনিক নবযুগ-এ যেসব সম্পাদকীয় প্রবন্ধ লেখেন, সেগুলোর কিছু গ্রন্থবদ্ধ হয় যুগবাণীতে। দুর্দিনের যাত্রী ও রুদ্র-মঙ্গল-এর প্রবন্ধগুলো আগেই ছাপা হয় ধূমকেতুতে। ১৯২২ সালের ১১ আগস্ট ধূমকেতুর প্রথম সংখ্যায় নজরুল লেখেন: ধূমকেতুকে রথ করে আমার আজ নতুন পথের যাত্রা শুরু হলো। আমার কর্ণধার আমি। আমার পথ দেখাবে আমার সত্য’ (‘আমার পথ’, রুদ্র-মঙ্গল)। এই ‘আমিত্ব’ যেমন তাঁর ‘বিদ্রোহী’ কবিতাকে (অগ্নি-বীণা কাব্যের) চালিত করেছিল, তেমনি এই ‘আমিত্ব’ চালিকাশক্তি হয়েছে তাঁর গদ্যেরও। কিন্তু কি সেই ‘সত্য’, যা তাঁকে পথ দেখাবে? নজরুলের ‘সত্য’ সন্ধানের উপায় অবশ্যই বিদ্রোহ; কিন্তু উদ্দেশ্য নানামাত্রিক:
ক. ‘সর্ব প্রথম, ধূমকেতু ভারতের পূর্ণ স্বাধীনতা চায়।’ (‘ধূমকেতুর পথ’, রুদ্র-মঙ্গল)

খ. ‘হিন্দু হিন্দু থাক, মুসলমান মুসলমান থাক, শুধু একবার এই মহাগগনতলের সীমা-হারা মুক্তির মাঝে দাঁড়াইয়া—মানব!—তোমার কণ্ঠে সেই সৃষ্টির আদিম বাণী ফুটাও দেখি! বলো দেখি, “আমার মানুষ ধর্ম”।’ (‘ছুঁৎমার্গ; যুগবাণী)
গ. ‘জাগো জনশক্তি! হে আমার অবহেলিত পাদপিষ্ট কৃষক, আমার মুটে-মজুর ভাইরা! তোমার হাতের এ-লাঙল আজ বলরাম-স্কন্ধে হলের মত ক্ষিপ্ত তেজে গগনের মাঝে উৎক্ষিপ্ত হয়ে উঠুক।’ (‘রুদ্র-মঙ্গল’, রুদ্র-মঙ্গল)

৩.
নজরুল যে ‘সত্য’কে ধারণ করতেন, তা অবশ্যই মুক্তির ও কল্যাণের। তিনিই প্রথম বাঙালি সাহিত্যিক, যিনি পূর্ণভাবে ভারতের স্বাধীনতা চেয়েছেন। তাঁর কণ্ঠের দৃঢ়তা, চেতনার বলিষ্ঠতা প্রতিফলিত হয়েছে লেখার মধ্যে। তিনি মনে করতেন, ইংরেজ ‘খেদানো’র পরেই মুক্তির অন্য পথগুলো উন্মুক্ত হতে পারে। ফলে নজরুলের প্রবন্ধে বিদ্রোহের প্রথম মাত্রা হিসেবে এসেছে—উপনিবেশ শক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন। স্বাধীনতা অর্জনের এই পথ সহজ নয়—অহিংস বা অসহযোগ আন্দোলন আমাদের মুক্তিকে ত্বরান্বিত করবে না। তাই ‘ক্ষুদিরাম’ হয়ে উঠেছে নজরুলের মুক্তিকামী-চেতনার আদর্শ বা দৃষ্টান্ত: ‘ক্ষুদিরাম গেছে, কিন্তু সে ঘরে ঘরে জন্ম নিয়ে এসেছে কোটি কোটি ক্ষুদিরাম হয়ে’ (‘ক্ষুদিরামের মা’; রুদ্র-মঙ্গল)। করুণা বা ভালোবাসা নয়, বরং পশুত্ব ও পৈশাচিকতাকে কার্যসিদ্ধির উপায় বলে মেনেছেন নজরুল। নিজেকে ‘সৈনিক’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন: ‘আমি দেবতা নই, আমি হিংস, বন্য, পশু। আমি সুন্দর নই, বীভৎস।…আমি মঙ্গলের নয়, আমি মৃত্যুর।…যুগে যুগে পশু-আমার সৈনিক-আমার জয় হউক!!’ (‘আমি সৈনিক’; দুর্দিনের যাত্রী)। নজরুল মনে করেছেন, ধ্বংসের মধ্য দিয়েই মঙ্গল ও সুন্দরের আগমন ঘটতে পারে। তাই প্রলয়ের দেবতা শিব-ই তাঁর চালিকাশক্তি: ‘রাজার পেছনে ক্ষুদ্র, আমার পেছনে—রুদ্র।…আমার হাতের ধূমকেতু এবার ভগবানের হাতের অগ্নি-মশাল হয়ে অন্যায়-অত্যাচারকে দগ্ধ করবে।’ (রাজবন্দীর জবানবন্দী)। নজরুল ঠিকই বুঝেছিলেন, ‘পরাধীনতার মত জীবন-হননকারী তীব্র হলাহল আর নাই’ (‘আমাদের শক্তি স্থায়ী হয় না কেন?’; যুগবাণী)। তিনি ভেবেছেন, পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তির জন্য ভারতের হিন্দু-মুসলমানকে এক হতে হবে। তাই প্রাসঙ্গিকভাবে তাঁর লেখায় এ বিষয়টিও প্রবল হয়ে উঠে এসেছে। কিন্তু হিন্দু-মুসলমানের মিলনের প্রধান অন্তরায় ‘ছোঁয়া-ছুঁয়ির জঘন্য ব্যাপারটাই’; যা কিনা ‘কোনো ধর্মেরই অঙ্গ হইতে পারে না’ (‘ছুঁৎমার্গ’; যুগবাণী)। বাহ্য-ধর্মের বিস্ফারে অন্তর্ধর্মকে সংকুচিত হতে দেখে নজরুল ক্ষুব্ধ হয়েছেন: ‘হিন্দুত্ব মুসলমানত্ব দুই সওয়া যায়, কিন্তু তাদের টিকিত্ব দাড়িত্ব অহস্য, কেননা ওই দুটোই মারামারি বাধায়।’ (হিন্দু-মুসলমান’; রুদ্র-মঙ্গল)
ওপরের দুটি কারণ—অর্থাৎ ঔপনিবেশিক শাসন ও হিন্দু-মুসলমানের দ্বন্দ্ব আমাদের তৃতীয় আরেকটি সংকটকে গভীর করেছে। আমাদের আর্থিক সংকট ও ধন-বৈষম্যের প্রধান কারণ হিসেবে নজরুল ওই দুটিকে উল্লেখ করেছেন। বিপরীতভাবে বলা যায়, ওই দুইয়ের ফলাফল হিসেবে দেখা দিয়েছে আর্থিক দুরবস্থা। যুগবাণী গ্রন্থের ‘উপেক্ষিত শক্তির উদ্বোধন’, দুর্দিনের যাত্রীর ‘মেয়্ ভুখা হুঁ’ কিংবা রুদ্র-মঙ্গল-এর ‘মন্দির ও মসজিদ’ প্রবন্ধে নজরুল তুলে ধরেছেন অর্থনৈতিক মুক্তির অন্তরায়কে। ‘বাঙালির ব্যবসাদারী’ প্রবন্ধে ব্যবসা-বাণিজ্যকে অনেক বাঙালি জীবিকার অবলম্বন হিসেবে গ্রহণ করায় সাধুবাদ জানিয়েছেন। তবে এদের অনেকে নিজের বা স্বজাতির ‘নাম ভাঁড়িয়ে’ ইংরেজি নামে নিজের নতুন নামকরণ করেছেন; একে তিনি কেবল উপনিবেশিত মানসিকতা বলছেন না—সরাসরি ঘৃণা করছেন। ঘৃণা করছেন ব্যবসায় প্রতারণার অবলম্বনকেও, ‘দুধের সঙ্গে জল মিশাইয়া বিক্রি করিলে লাভ হয় যত, প্রবঞ্চনা করার পাপটা হয় তার চেয়ে অনেক বেশি’। তাই এই সঙ্গে লিখেছেন: ‘শিল্প-বাণিজ্যের উন্নতি করিতে না পারিলে জাতির পতন যেমন অবশ্যম্ভাবী, সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত না করিয়ে বাণিজ্যের পতনও আবার তেমনি অবশ্যম্ভাবী’। (‘বাঙালির ব্যবসাদারী’, যুগবাণী)
সাহিত্য ও শিক্ষার ক্ষেত্রেও নজরুল বিপ্লব চেয়েছেন। এ ক্ষেত্রেও তিনি প্রবল আলোড়নের মাধ্যমে আনতে চেয়েছেন বড় পরিবর্তন। বাঙালি সাহিত্যিকের লেখনীতে শক্তি ও গতি চেয়ে লিখেছেন: ‘সর্ব প্রথম আমাদের লেখার জড়তা দূর করিয়া তাহাতে ঝর্ণার মতো ঢেউভরা চপলতা ও সহজ মুক্তি আনিতে হইবে’ (‘বাঙ্লা সাহিত্যে মুসলমান’; যুগবাণী)। আমাদের শিক্ষা-পদ্ধতি আমাদের ঔপনিবেশিক শক্তির কাছে মাথা নুইয়ে রাখতে বাধ্য করছে। তাই তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের শিক্ষা-পদ্ধতি এমন হউক, যাহা আমাদের জীবনশক্তিকে ক্রমেই সজাগ, জীবন্ত করিয়া তুলিবে’ (‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়’, যুগবাণী)

৪.
নজরুল-গদ্যের অদম্য গতি ও স্বতঃস্ফূর্ততাকে প্রধান গুণ এবং প্রধান দোষ হিসেবে চিহ্নিত করে বুদ্ধদেব বসু মন্তব্য করেছেন: ‘যা-কিছু তিনি লিখেছেন, লিখেছেন দ্রুতবেগে; ভাবতে, বুঝতে, সংশোধন করতে কখনো থামেননি, কোথায় থামতে হবে দিশে পাননি’ (‘নজরুল ইসলাম’; কালের পুতুল)। কিন্তু যাঁর ভাবনা সজ্জিত, বোধ স্বচ্ছ এবং বাক্যবিন্যাস ব্যাকরণ-শুদ্ধ, তাঁকে তো আর গতির দ্রুততা নিয়ে ভাবতে হয় না। নজরুল নিজেও তাঁর গতিময় গদ্যের ব্যাপারে সচেতন ছিলেন, ‘যে সাহিত্য জড়, যাহার প্রাণ নাই, সে নির্জীব-সাহিত্য দিয়া আমাদের কোনো উপকার হইবে না, আর তাহা স্থায়ী সাহিত্যও হইতে পারে না।’ (‘বাঙ্লা সাহিত্যে মুসলমান’; যুগবাণী)
নজরুল-সাহিত্য ‘স্থায়ী’ হবে কি না—এই নিয়েও ‘ঈষৎ সন্দেহ’ ছিল বুদ্ধদেব বসুর: ‘…অতি অল্প সময়ের মধ্যে অসামান্য লোকপ্রিয়তা অর্জন করলেন তিনি। এটা কবির পক্ষে বিরল ভাগ্যের কথা; কিন্তু যে-লেখা বেরোবার সঙ্গে-সঙ্গেই লোকপ্রিয় হয় তাকে আমরা ঈষৎ সন্দেহের চোখে দেখি, কারণ ইতিহাসে দেখা যায় সে-সব লেখা প্রায়ই টেকসই হয় না’ (‘নজরুল ইসলাম’; কালের পুতুল)। বুদ্ধদেব-নির্দেশিত ‘ভালো লেখার ভালোত্ব’ কি নজরুল-রচনায় অনুপস্থিত? ভাষা-বিশ্লেষণ এই আলোচনার উদ্দেশ্য নয়; কিন্তু প্রথমেই আমরা নজরুলের গদ্যের ভাষা-বৈশিষ্ট্যের স্বরূপ তুলে ধরেছি। প্রাবন্ধিকের বিষয়ভাবনা ও মনোলোকের চেতনার সঙ্গে পাঠকের সংযোগ ঘটে যে-ভাষার মাধ্যমে, সেই ভাষাশৈলীর উৎকর্ষে নজরুল নিশ্চয় কৃতকার্য। আর সাহিত্যের স্থায়ী-অস্থায়ীর নির্দেশক মাপকাঠি আজতক নির্ধারণ করা সম্ভবপর হয়নি। নজরুল যেখানে ‘জড়তামুক্ত’ সাহিত্যকে স্থায়ী হয়ে ওঠার মূল শর্ত মানছেন, বুদ্ধদেব সেখানে সাহিত্যের ‘ভালোত্ব’কে গুরুত্ব দিচ্ছেন।
নজরুল কি সাহিত্যের শিল্প-সৌন্দর্য নিয়ে সচেতন ছিলেন না? ‘বাংলা সাহিত্যে মুসলমান’ প্রবন্ধে লিখছেন: ‘তিনিই আর্টিস্ট, যিনি আর্ট ফুটাইয়া তুলিতে পারেন। আর্ট-এর অর্থ সত্যের প্রকাশ, এবং সত্য মাত্রেই সুন্দর, সত্য চিরমঙ্গলময়।’ নজরুলের প্রবন্ধে ‘বিদ্রোহে’র বহুমাত্রা অনুসন্ধান করতে গিয়ে আমরা এই ‘সত্যে’র পরিচয় জেনেছি। এই ‘সত্য’—অধীনতার শৃঙ্খল মুক্তির, এই ‘সত্য’—‘মানুষ-ধর্মের প্রতিষ্ঠার’, এই ‘সত্য’—দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধের। যত দিন পর্যন্ত না এগুলো অর্জিত হয়, নজরুল-সাহিত্য তত দিন পর্যন্ত অন্তত অপ্রাসঙ্গিক হবে না।

সংগ্রহঃ প্রথম আলো-২২ মে ২০১৫, তারিক মনজুর

Add a Comment