Security Council

জাতিসংঘের ছয়টি প্রধান অঙ্গের অন্যতম জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ (United Nations Security Council (UNSC))বা নিরাপত্তা পরিষদ, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এর কাজ।

নিরাপত্তা পরিষদের শান্তিরক্ষা অপারেশন, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এবং নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন মাধ্যমে সামরিক অভিযানের ক্কষমতা আছে, এটি জাতিসংঘের এমন একটি অঙ্গ, যেটি থেকে জারি করা রেজুলেশন সদস্য দেশগুলোর জন্য মানা বাধ্যতামূলক। নিরাপত্তা পরিষদের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয় ১৭ জানুয়ারি ১৯৪৬।

নিরাপত্তা পরিষদের পনের সদস্য নিয়ে গঠিত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয়ী পাঁচ পরাশক্তি – চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র স্থায়ী সদস্য। এই স্থায়ী সদস্যদের নিরাপত্তা পরিষদের রেজল্যুশন, নতুন সদস্য দেশ অন্তর্ভুক্তি বা মহাসচিব প্রার্থীর নিয়োগে ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা আছে। এছাড়াও ১০ জন অস্থায়ী সদস্য আছে, যারা নিদিষ্ট অঞ্চল থেকে ২ বছরের জন্য নির্বাচিত হন। কোন প্রস্তাব পাসের জন্য নিরাপত্তা পরিষদের ১৫টি ভোটের কমপক্ষে ৯টি ভোটের প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে স্থায়ী সদস্যদের কেউ ভেটো দিলে তা পাশ হবে না। ফলে বিশ্বরাজনীতিতে এই পাঁচ সদস্যের প্রভাব অপরিসীম। তাই অনেকে এতে পরিবর্তন আনার পক্ষপাতী। অনেক রাষ্ট্র নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হতে ও জোড় কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছে। তবে বাস্তবিকই নিরাপত্তা পরিষদে সদস্য সংখ্যায় পরিবর্তন আনা জরুরি। কেননা-
সংখ্যার অনুপাতে ক্ষমতা বণ্টিত হওয়ার সুযোগ থাকবে। যেমন বিশ্বের ৬.৬% লোক ইউরোপে বাস করলেও নিরাপত্তা পরিষদের ৬০% ক্ষমতা তাদের হাতে। অপর দিকে বিশ্বের ৬১% মানুষ এশিয়া তে বাস করলেও এশিয়ার প্রতিনিধিত্ব মাত্র ২০%(শুধু চীন)

জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠাকালে(১৯৪৫) এর সদস্য সংখ্যা ছিল ৫১টি। বর্তমানে ১৯৩টি তাই সংগত কারনেই এতে পরিবর্তন দরকার।

খাতা-কলমে জাতিসংঘের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হলেন মহাসচিব। তিনি Rubber Stamp president এর মত। নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্তের বাইরে তিনি যেতে পারেননা।

ধরা যাক সাধারণ পরিষদের একটি প্রস্তাবে বিশ্বের ১৯২টি দেশ ‘হ্যাঁ’ দিয়েছে কিন্তু স্থায়ী সদস্যের কেউ একজন ‘না’ ভোট দিয়েছেন। একারণেই সে প্রস্তাবটি আর পাশ হবে না। চারিদিকে যেখানে গণতন্ত্রের জয়জয়কর অবস্থা, তখন এটি মানা যায় না। ফলে দেখা যাচ্ছে খোদ জাতিসংঘেই গণতন্ত্রের চর্চা নেই।

Add a Comment