মার্টিন লুথার ও মার্টিন লুথার কিং
|মার্টিন লুথার ও মার্টিন লুথার কিং, আন্তর্জাতিক ইতিহাসের এই দুই ব্যক্তিকে নিয়ে অনেক সময়ই আমরা দ্বিধায় পরে যাই। এ দুজন কি একই ব্যক্তি? না ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তির নাম। হ্যাঁ এনারা দুজন ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তি। ধর্ম তাত্ত্বিক মার্টিন লুথারের জন্ম ১৪৮৩ সালে জার্মানিতে, অপরপক্ষে আমেরিকার নিগ্রদের নাগরিক অধিকার আন্দোলনের অহিংসবাদী নেতা মার্টিন লুথার কিং এর জন্ম ১৯২৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে।
মার্টিন লুথার
মার্টিন লুথার(১৪৮৩-১৫৪৬) একজন ধর্মবেত্তা। পঞ্চম চার্লস যখন পবিত্র রোমান সাম্রাজ্যের সম্রাট পদ লাভ করেন। তখন জার্মানিতে মার্টিন লুথারের নেতৃত্বে ধর্ম সংস্কার আন্দোলন চলছিল। পঞ্চম চার্লস ছিলেন একজন গোঁড়া ক্যাথোলিক। অর্থাৎ চার্চের তথা পোপের একনিষ্ঠ ভক্ত। আর তখনকার সময় চার্চের কথাই সর্বোচ্চ আইন বলে মানা হত। চার্চ থেকে তখন ‘পাপ মুক্তি’র সনদ বিক্রি করা হত। এই সনদ যার কাছে থাকবে সে পরকালে পাপ হতে মুক্তি পাবে এবং স্বর্গ লাভ করবে। এসব ভ্রান্ত বিশ্বাসের সমালচনা করে মার্টিন লুথার ‘Ninety-five Theses’ নামে বই লেখেন। ক্যাথোলিক ও সম্রাট হিসাবে মার্টিন লুথার কে দমন করা পঞ্চম চার্লসের নৈতিক দায়িত্ব হয়ে পরে। পঞ্চম চার্লস বিভিন্ন ধর্ম সভার আয়োজন করে লুথারকে দমনের চেষ্টা করেন ও ব্যর্থ হন। লুথার সমর্থকবৃন্দ এসব ধর্ম সভার আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ করতে থাকেন। এ প্রতিবাদ হতেই মার্টিন লুথার সমর্থকদের ‘প্রোটেস্টান্ট’ (protestant) বলা হয়।
মার্টিন লুথার কিং
মার্টিন লুথার কিং (১৯২৯-১৯৬৮) আমেরিকায় বসবাস কারি নিগ্রদের(আফ্রিকান-আমেরিকান) নাগরিক অধিকার আন্দলোনের অহিংসবাদী নেতা। ১৯৬৩ সালে ওয়াশিংটন ডিসিতে বর্ণপ্রথার অবসান চেয়ে ‘I have a dream’ শীর্ষক ভাষণ দেন। ১৯৬৪ সালে মাত্র ৩৫ বছর বয়সে তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান। ১৯৬৮ সালে তিনি গুপ্তঘাতক কর্তৃক নিহত হন।