GST

GST=Goods and Service Tax
পরতে পরতে কর না চাপিয়ে, দেশে একটি মাত্র কর ব্যবস্থা চালু করাই জিএসটির লক্ষ্য।

জিএসটি’র কাঠামো
যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার ব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকার নিজেদের মতো করে আলাদা আলাদা নামে কর কেটে নেয়। যেহেতু জিএসটি’র মূল লক্ষ্য হল অভিন্ন কর-কাঠামো গড়া, তাই এক্ষেত্রে মূল দু’টি ভাগ রাখা হয়েছে। একটি স্টেট জিএসটি বা এসজিএসটি, অন্যটি সেন্ট্রাল জিএসটি বা সিজিএসটি। নাম যাই-ই হোক না কেন, করের হার হবে একই। কোন কোন ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার কর আদায় করবে, কোন ক্ষেত্রে সেই দায়িত্ব নেবে কেন্দ্র, তা ঠিক হবে খসড়া জিএসটি বিলে। কত টাকা ভাগাভাগি হবে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে, সেই বিষয়ও এখনও চূড়ান্ত হয়নি। দু’টি রাজ্যের মধ্যে কাঁচামাল বা পণ্য আদানপ্রদান হলে, তার হিসাবই বা কী হবে, সে বিষয়েও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

জিএসটি’র সুবিধা
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই কর ব্যবস্থার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হল, সাধারণ মানুষের কাছে কম দামে জিনিস পৌঁছাবে। কারণ, এখন কোনও পণ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে, তা বিক্রির জায়গা পর্যন্ত নানা ধাপে কর দিতে হয়। আর তার ফলেই একদিকে যেমন দাম বাড়ে, তেমনই তাতে জটিলতাও থাকে। জিএসটি চালু হলে প্রস্তুত হওয়া পণ্য কিনতে গেলে, একমাত্র সেই সময়ই কর চাপানো হবে। সেটি ধার্য হবে এমনভাবে, যাতে শেষ পর্যন্ত তা চাপবে উৎপাদন খরচের উপর। অর্থাৎ, হরেক করের চাপ মুক্ত হবে সেই পণ্য। পণ্যের দাম কমলেই বিক্রি হবে বেশি। তাতে উৎপাদন হবে বেশি। অর্থনীতি এগবে।

Add a Comment