সিরিয়া সংকট

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মতপার্থক্যে মধ্যেই সিরিয়ার রক্তক্ষয়ী সংঘাত আট বছরে প্রবেশ করেছে । ২০১১ সালের ১৫ মার্চে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পদত্যাগের দাবিতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে নামে দেশটির হাজার হাজার নাগরিক । কিন্তু সেটা আর পরে শান্তিপূর্ণ থাকেনি,রূপ নিয়েছে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে। এই রক্তপাত এযাবৎকালের সবচেয়ে জটিল সংঘাতে পরিণত হয়েছে ।

Bashar al Assad
Bashar al Assad

বিশ্বে এখন সব থেকে মানবিক সংকট ও বিপর্যয় বিরাজ করছে সিরিয়ায়। প্রতিদিন টিভির পর্দায়, পত্রিকার পাতায় কিংবা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রতিদিন চোখে পড়ে সামরিক বেসামরিক সহ অসংখ্য নারী শিশু আহত ও নিহত হওয়ার খবর। ২০১১ সালের ১৫ মার্চ শুরু হওয়া প্রেসিডেন্ট আসাদের বিরুদ্ধে শুরু হওয়া আন্দোলন রূপ নেয় গৃহযুদ্ধের। এ গৃহযুদ্ধে নানা পক্ষের যুক্ত হওয়ায় পরিস্থিতি এক জটিল আকার ধারণ করেছে। গত আট বছরে প্রায় (৬+ নাকি সাড়ে তিন লাখ? ) লক্ষ লোক নিহত হয়েছে। এবং আহত হয়েছে ১০ লাখেরও বেশি। বাস্তু হারা হয়েছে প্রায় ২০ লাখ। নিহতের এক তৃতীয়াংশ বেসামরিক নাগরিক। শরণার্থীর সংখ্যা প্রায় ৬০ লক্ষ।

দেশবাসীর ব্যাপক বিক্ষোভ স্বত্বেও নিজের সম্প্রদায় ও সুন্নিদের বড় অংশের সমর্থন এখনও পাচ্ছে বাসার। কারণ, তাঁর কাছ থেকে বিভিন্নভাএ লাভবান হয়েছে এরা। এজন্য তারা বাসারের পরিবর্তন চায় না।

কিভাবে এ সমস্যার সমাধান হবে জানা নেই কারো। ঘটনার শুরু ২০১১ সালে। মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ গণতন্ত্রের দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে যা আরব বসন্ত নামে পরিচিত। এরই সুত্র ধরে সিরিয়ার এক নায়ক বাসার আল আসাদের পদত্যাগ ও দেশে একনায়ক তন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে সিরিয়ার বিরোধিদলীয় নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ শুরু করে। রাজধানী দামেস্ক সহ বড় বড় শহরগুলোতে বিরোধীদল ও সাধারণ জনগণ বিক্ষোভে রাস্তায় নেমে আসে। বিক্ষোভ দমন করতে আসাদ সেনাবাহিনী নামিয়ে দেয়। সেনাদের সাথে সংঘর্ষে নিহত হতে থাকে বিক্ষোভকারীদের অনেকে। দিনে দিনে তা বাড়তে থাকে। হত্যা নির্যাতনের অভিযোগে আমেরিকা ও ইউরোপের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সিরিয়ার উপরে। তিন মাসে হাজার ছাড়িয়েগেল নিহতের সংখ্যা। তবু রাস্তা ছাড়লো না বিক্ষোভ কারীরা। সেনাবাহিনীর অনেকে বাহিনী ছেড়ে চলে আসে। আসাদ বিরোধী, বিরোধী দল ও সুন্নি সমর্থকদের সাথে তারা ফ্রি সিরিয়ান আর্মি নামে এক নতুন আর্মি গঠন করে। আলকায়েদা, আলনুশরার মত জঙ্গি গোষ্ঠী ও যোগ দেয় এই বিরোধী বাহিনীতে। বাড়তে থাকে যুদ্ধে ব্যাপ্তি।

আসাদ কে সহায়তা করতে এগিয়ে আসে রাশিয়া ও ইরান। লেবাননের গেরিলা গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও আসাদের পক্ষে যোগ দেয়। আর বিদ্রোহীদের অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করতে থাকে আমেরিকা, ইসরাইল, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও সৌদি আরব। এদিকে যুদ্ধে তৃতীয় পক্ষ হিসাবে যোগ দেয় আইএস। ইরাকের বিশাল এলাকা দখল করার পর আইএস সিরিয়া দখল করতে অগ্রসর হয়। আইএস পরিবেশ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলে। কেননা তখন আইএস ও আমেরিকার উদ্দেশ্য অভিন্ন হয়ে যায়- আসাদকে সরানো। কিন্তু আমেরিকা আবার আইএস কে নির্মূল ও করতে চায়। যুদ্ধে আইএস দমনের কথা বলে আমেরিকা যুদ্ধে প্রতক্ষ্যভাবে জড়িয়ে পড়ে। ২০১২ এর নভেম্বরে আমেরিকা, ইসরাইল, সৌদি আরব ও ইউরোপের কয়েকটি দেশ বিদ্রোহী নেতাদের নিয়ে জাতীয় পরিষদ নামে কাউন্সিল গঠন করে এবং সিরিয়ার প্রশাসক হিসাবে স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু আল কায়েদা ও আল নুশরা জঙ্গিগোষ্ঠীর নেতাদের পরিষদে রাখা হয় না। আইএস দমন ও রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অযুহাতে কয়েকটি বিমান হামলা করে যুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে পরে আমেরিকা। এদিকে আরেকটি পক্ষ হিসাবে ময়দানে নামে কুর্দিরা। এই যুদ্ধের ডামাডোলে কুর্দিরা ও নিজেদের স্বাধীন আবাসভূমির স্বপ্নে বিভোর। আমেরিকা এগিয়ে এসেছে কুর্দিদের সহায়তায়-যৌথভাবে আইএস দমন করবে বলে। ফলে ন্যাটোভুক্ত দেশ হওয়া সত্ত্বেও তুরুস্ক কুর্দিদের উপর হামলা চালায়। কারণ কুর্দিদের জন্য আলাদা রাষ্ট্র হতে দিতে রাজি নয় তুরুস্ক। বিভিন্ন পক্ষের উপস্থিতি এখন সিরিয়ার অবস্থা জটিল থেকে জটিলতর করে তুলেছে।

কোন দেশের কি স্বার্থ/ কেনই বা তারা বিভিন্ন পক্ষকে সহায়তা দিচ্ছে?

সিরিয়ার যুদ্ধে পক্ষে বিপক্ষে নির্ধারণ রাজনৈতিক, ধর্মীয়, ও প্রাকৃতিক সম্পদ সব কিছুই ভূমিকা রেখেছে। আমেরিকা-ইসরাইল-ইংল্যান্ড ফিলিস্তিনের উপর ইসরাইলী আগ্রাসনের জবাবে বাসার আল আসাদের পিতা তৎকালীন সিরিয়া প্রেসিডেন্ট হাফিজ আল আসাদ ৩০ হাজার সিরিয়া সৈন্য কে বেকা উপত্যকায় মোতায়ন করেন। তাই ঐতিহাসিকভাবে সিরিয়া ও ইসরাইলের মধ্যে শত্রুতা রয়েছে। হাফিজ আল আসাদের মৃত্যুর পর ক্ষমতায় আসে বাসার আল আসাদ ২০০০ সালে। পিতার মত সে ও ইসরাইল বিরোধী নীতিতে অটল থাকে। হিজবুল্লাহ ও হামাসকে সহায়তা করে আসাদ সরকার। আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে আমেরিকা ও ইসরাইল অন্তত তিন বার সেনাবাহিনীতে ক্যু করার চেষ্টা করেছে। তবে কোন বাড়েই চূড়ান্ত সফল পায়নি। ফলে পুরা মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলের জন্য দুটি দেশ সিরিয়া ও ইরান হুমকি হয়ে আছে। ইরানকে নানা অবরোধ দিয়ে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা অব্যহত আছে। সিরিয়ায় আসাদকে উৎখাত করে নিজেদের পছন্দমত কাউকে বসাতে পারলে সিরিয়া নিজেদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। মূলত এ কারণেই আমেরিকা, ইসরাইল ও ইউরোপের দেশগুলো আসাদ বিরোধী বিদ্রোহী বাহিনীকে সহায়তা করছে।

সৌদি স্বার্থ
আমেরিকা ও ইসরালের মিত্র বলে পরিচিত সৌদি সরকার শিয়া পন্থী আসাদকে সরাতে চায় ধর্মীয় মত পার্থ্যকের কারণে ও দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক বিরোধিতার কারণে। আবার ইরানের সাথে আসাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে স্বাভাবিক ভাবেই আসাদকে সরাতে চায় ইরানের শ্ত্রু ওহাবী পন্থী সৌদি আরব। তাই সৌদি চায় আসাদকে সরিয়ে তাদের মতাদর্শী কাউকে ক্ষমতায় বসাতে। এ লক্ষে সৌদি বিলিয়ন ডলার খরচ করছে বিদ্রোহীদের পক্ষে।

রাশিয়া
মধ্যপ্রাচ্যে রাশিয়ার দুই বিশ্বস্ত বন্ধু হচ্ছে ইরান ও সিরিয়া। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার কারনে এখন পুতিন ও আসাদের সম্পর্ক ও বেশ ঘনিষ্ঠ। আসাদ সরকারের পক্ষে বিমান ও সেনাবাহিনী পাঠায় রাশিয়া। আসাদের পতন হলে সিরিয়া চলে যাবে আমেরিকা ও ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণে। তাই রাশিয়া সক্রিয়ভাবে যুদ্ধের ময়দানে ও জাতিসংঘে আসাদের পক্ষে আছে। ২০১২ সালের এক পর্যায়ে যখন আসাদ বাহিনী কোণ ঠাসা হয়েগেছিল আসাদ বাহিনী তখন রাশিয়া এগিয়ে না আসলে হয়ত আসাদকে চরম সংকটে পরতে হত। কিন্তু রাশিয়ার সহযোগিতার কারনে আসাদের বাহিনী এখন তুলনামূলকভাবে ভালো অবস্থানে রয়েছে। ইসরাইলের সব থেকে বড় শত্রু ইরান। আবার সৌদি আরবের সাথে ইরানের ঐতিহাসিক শত্রুতা, আর আসাদ সরকার ইসরাইল ও সৌদি বিরোধী। এদিকে ইসরাইলকে চাপে রাখতে হিজবুল্লাহকে দরকার ইরানের। আর সিরিয়া দিয়ে হিজবুল্লাহকে সহায়তা পাঠাতে হয় ইরানকে। ফলে রাশিয়ার পাশাপাশি ইসরাইলের সব থেকে বড় শ্ত্রু ইরান ও সমর্থন করে আসাদকে। আর ইরান আসাদের বাহিনীকে সামরিক ও গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে সাহায্য করে। সাহায্য করছে হিজবুল্লাহও।

তুরুস্ক
সিরিয়া যুদ্ধের শুরু থেকেই তুরুস্ক আসাদ বিরোধীদের সমর্থন করছে। এর একটি কারণ হতে পারে সুন্নি ও শিয়া মতভেদ। আরেকটি কারণ, কাতার পারস্য উপসাগর থেকে সিরিয়া দিয়ে তুরুস্কে প্রাকৃতিক গ্যাসের পাইপ লাইন নিয়ে যেতে চায়, আবার তুরুস্ক আমেরিকা ইংল্যান্ডের সাথে ন্যাটো জোটভূক্ত। ফলে শুরুর দিকে ফ্রি সিরিয়ান আর্মির সাথে একাত্ম হয়ে তারা আসাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। তবে রাশিয়ার প্রভাবে ক্ষমতায় বসার পর আসাদ বিরোধী মনভাব থেকে সড়িয়ে এসেছে এরদোয়ান। বর্তমানে সিরিয়ার যুদ্ধে তুরস্কের মূল লক্ষ স্বাধীন রাষ্ট্রকামী কুর্দিদের দমন করা। তুরুস্ক চায় না কুর্দিরা নতুন এলাকায় নিয়ন্ত্রন পাক। কারণ তুরস্কের কুর্দিরা তুরস্কের সরকারের বিরুদ্ধে স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য সংগ্রাম করছে। সিরিয়ার কুর্দিরা যদি কোন স্বাধীন এলাকা পেয়ে যায় তাহলে সেটা তুরস্কের কুর্দিদের জন্য নিরাপদ স্থান হবে ও তুরস্কের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে সুবিধা হবে।

কি হবে পরিণতি
বিভিন্ন পক্ষের স্বার্থসংস্লিষ্টতা দেখে বোঝা যায় যুদ্ধের পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছে। এখানে নিরঙ্কুশ ভাবে জয় পাওয়া মনে হয় সম্ভব নয়। আবার পরিস্থিতি এমন হয়েছে যেকোণ দলের জয় অপর দলের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি ডেকে আনবে। আমরা সকলে চাই এই ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ বন্ধ হোক। অসহায় নারী ও শিশুদের যেন আর করুণ মৃত্যু না হয়। কিন্তু শান্তিপূর্ণ সমাধানে আসা সহজ হবে না। আসাদ পক্ষ ও বিরোধী পক্ষের প্রায় ২ লক্ষ করে সৈন্য নিহত হয়েছে। ফলে কোন পক্ষই আর ছাড় দেওয়ার মানসিকতায় নেই। আত্মসমর্পণ করলে দীর্ঘদিনের কারাবাস বরণ করে নিতে হবে, সেই সাথে যুক্ত হয়েছে নানা দেশের নানা স্বার্থ। বর্তমানে আসাদ বাহিনী ভালো অবস্থানে আছে। তারপরেও আসাদ বাহিনীর বড় সমস্যা লোকবল। পুরো সিরিয়া নিয়ন্ত্রণ করার মত লোকবল এখন আসাদের নেই। ফলে এলাকা নিয়ন্ত্রণে রাখতে আসাদ কে রাশিয়ার উপর নির্ভশীল হতে পারে।

বিদ্রোহীদের ব্যর্থতার কারণ
বিদ্রোহীদের মাঝে নানা উপদল থাকায় তাদের মাঝে ঐক্যের অভাব আছে। প্রকৃত পক্ষে তাদের কোন একক নেতা ও নেই। আবার আমেরিকা ও বিদ্রোহীদের আগের মত প্রত্যক্ষ সহায়তা করছে না। ফলে কিছুটা কোণঠাসা অবস্থায় আছে বিদ্রোহীরা। আর আইএসের অবস্থা একেবারে নাজুক। যুদ্ধে মূলত সবথেকে পরাজয় হয়েছে আইএসের। তবে কুর্দিদের অবস্থান ও বেশ শক্ত। আইএস এর শক্ত ঘটি রাকা থেকে আইএস কে বিতাড়িত করে রাকা কিছু বিস্তৃর্ণ অঞ্চল এখন কুর্দিদের দখলে। যুদ্ধে যদি আসাদ বাহিনী সকল এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ও নেয়, তবু মনে হচ্ছে এলাকায় শান্তি সহজে আসবে না। আইএস এর পরাজয়ের পর বিদ্রোহী পক্ষ শান্ত হয়ে যাবে এটা ভাবা যায় না। তারা হয়ত তখন সম্মুখ যুদ্ধের পরিবর্তে চোরাগোপ্তা হামলা চালাবে। আবার এদিকে কুর্দিদের দখলকৃত অঞ্চলে তুরস্কের অভিযান অব্যহত থাকবে। যেমন কিছুদিন আগে আফরিন এলাকায় সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছে তুরস্ক। আবার আসাদও চাইবেনা সিরিয়ার এত বড় এলাকা নিজের নিয়ন্ত্রণে না রেখে কুর্দিদের নিয়ন্ত্রোণে রাখতে। ফলে পরিস্থিতির এক মাত্র সমাধান হতে পারে জাতিসংঘে আন্তর্জাতিক মহলের সদিচ্ছা। নইলে দীর্ঘমেয়াদী গৃহযুদ্ধের অন্ধকারে ডুবে থাকবে এই দেশ। যদি সকল পক্ষ নিজেদের স্বার্থ ত্যাগ করে অসহায় মানুষদের কথা ভেবে, নিষ্পাপ শিশুদের কথা ভেবে সত্যি সমাধান চায়, তাহলে কেবল সমাধান আসবে। জাতি সংঘকে নিতে হবে এক বলিষ্ঠ পদক্ষেপ। বিবাদমান পক্ষের মাঝে সমঝতার ভিত্তিতে একটি শান্তি চুক্তি করে শান্তি রক্ষী বাহিনী মোতায়ন করতে হবে। কিন্তু এটা মনে হয় শুধু কল্পনাতেই সম্ভব। কেননা নিজ নিজ স্বার্থকে গুরুত্ব না দিয়ে শান্তির কথা ভাবার মত কোন পক্ষ কি আছে?

বিদ্রোহীদের ওপর বোমাবর্ষণ করেছে, যার সমর্থন দিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শক্তিশালী ইরান । আর ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতায় আসার পর কোণঠাসা হয়ে পড়েছে মার্কিন-সমর্থিত বিদ্রোহীরা । সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশ বিদ্রোহীদের সহায়তা দিলেও বর্তমানে তা হালে পানি পাচ্ছে না। প্রতিবেশী তুরস্ক সিরিয়ার উওরাঞ্চলে কুর্দি-নিয়ন্রিত এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে। আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হওয়ায় সংঘাত শুরুর পর থেকে এই শতাব্দীর সবচেয়ে প্রাণঘাতী যুদ্ধে সাড়ে তিন লাখের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে,বাস্তচ্যুত হয়েছে সিরিয়ার মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি,অর্থাৎ ২০ লাখ।

অবরুদ্ধ আলেপ্পো এবং দামেস্কের কাছাকাছি পূর্ব গৌতায় বিদ্রোহীদের ঘাঁটিতে বোমাবর্ষণ করে আসাদ বাহিনী। ২০১৬ ও ২০১৮ সালে আসাদ বাহিনী এদুটি এলাকা দখলে নেয়।

পূর্ব গৌতায় সম্ভাব্য রাসায়নিক হামলার জেরে সিরিয়ার সরকারি স্থাপনায় যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রে, ও ফ্রান্স হামলা চালায়। স্বাভাবিক ভাবে এ হামলার বিরোধীতা করে ইরান ও রাশিয়া। কিন্তু, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ন্যাটো, জার্মান, ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য মিত্ররা এ হামলাকে সমর্থন জানিয়েছেন।

সম্ভাব্য সমাধান

  • জাতিসংঘের শান্তি প্রস্তাব গ্রহণ করে সকল পক্ষের এগিয়ে আসা।
  • যুক্তরাষ্ট ও রাশিয়ার ব্যক্তিগত স্বার্থ ত্যাগ করা।
  • মধ্যপ্রাচ্যে ধর্মীয় মতপার্থক্য কমিয়ে আনা।
  • বিভিন্ন বিদ্রোহী গ্রুপগুলোকে শান্তি প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভূক্ত করা।
  • সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জাতীয় সরকার গঠন করা।


👉 Read More...👇

Add a Comment