দীপ্তিমিতি

ঘনকোণ
সমতলের পরিবর্তে ত্রিমাত্রিক স্থানে যে কোন উৎপন্ন হয় তাকে ঘনকোণ বলে। একটি গোলকের পৃষ্ঠের কোনো অংশ গোলকের কেন্দ্রে যে ঘনকোণ আবদ্ধ করে তার মান পৃষ্ঠের ঐ অংশের ক্ষেত্রফলকে গোলকের ব্যাসার্ধের বর্গ দ্বারা ভাগ করলে পাওয়া যায়।
ঘনকোণের একক স্টেরেডিয়ান(Steredian)। ১মিটার ব্যাসার্ধ বিশিষ্ট গোলকের পৃষ্ঠের ১ বর্গমিটার ক্ষেত্রফল গোলকের কেন্দ্রে যে ঘনকোণ আবদ্ধ করে তাকে এক স্টেরেডিয়ান বলে।

দীপন ক্ষমতা(Luminous Intensity)
সকল দীপ্তীমান বস্তু সমান আলো দেয় না। কোন আলোক উৎস কি পরিমাণ আলো দেয় তা নির্ভর করে দীপন ক্ষমতার উপর। কোন বিন্দু উৎস থেকে প্রতি সেকেন্ডে কোন নির্দিষ্ট দিকে একক ঘনকোণে যে পরিমাণ আলোকশক্তি নির্গত হয় তাকে ঐ উৎসের দীপন ক্ষমতা বলে। দীপন ক্ষমতার একক ক্যান্ডেলা। ক্যান্ডেলাকে I দিয়ে প্রকাশ করা হয়। আন্তর্জাতিক পদ্ধতিতে যে সাতটি মৌলিক রাশিকে মৌলিক রাশি হিসাবে ধরা হয়েছে দীপন ক্ষমতা তার একটি।

আলোক ফ্লাক্স(Luminous flux)
কোন দীপ্তিমান বস্তু থেকে এক সেকেন্ডে যে পরিমাণ আলোক শক্তি নির্গত হয় তাকে দীপ্তি বা আলোক প্রবাহ বা আলোক ফ্লাক্স বলে। আলোক ফ্লাক্স পরিমাপের একক লুমেন। এক ক্যান্ডেলা দীপন ক্ষমতার কোন আলোক উৎস থেকে যে পরিমাণ আলোক ফ্লাক্স এক ঘনকোণে নির্গত হয় তাকে এক লুমেন বলে।

দীপন তীব্রতা(Illumination)
ঘরে বাতি জ্বালালে সব জায়গায় সমভাবে আলোকিত হয় না। একই উৎস দ্বারা বিভিন্ন পৃষ্ঠ বিভিন্ন রকমভাবে আলোকজ্জ্বল হতে পারে। কোন পৃষ্টের দীপন তীব্রতা বলতে আমরা বুঝি, ঐ পৃষ্ঠটি উৎস দ্বারা কী পরিমাণ আলোকিত হয়েছে। কোন পৃষ্ঠেরর এক বর্গমিটার ক্ষেত্রফলে আপতিত আলোক ফ্লাক্সের পরিমাণকে ঐ তলের দীপন তীব্রতা বলে।

Add a Comment