আধুনিক যুগের প্রথম পর্যায় এর ব্যাপ্তিকাল ১৮০০ থেকে ১৮৬০ সাল অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মের(১৮৬১) পূর্ব পর্যন্ত। এ সময়ে বাংলা গদ্যের উদ্ভব ও বিকাশ সাধিত হয়।
১৮০০ সালের পূর্বে এন্টিনিও দ্য রোজারিও খ্রিষ্ট ধর্ম প্রচারের জন্য বই লেখেন, পর্তুগীজ পাদ্রী মনো এল দ্য আসসুম্পসাঁও এর ‘কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ’ বাংলা গদ্যের প্রাথম প্রয়াস। ১৭৭৮ সালে নাথানিয়াল ব্রাসি হ্যালহেড ইংরেজি ভাষায় সর্বপ্রথম বাংলা ব্যাকরণ রচনা করেন। ব্যাকরণটি ইংরেজি ভাষায় লিখিত হলেও এতে আংশিক বাংলা হরফ ব্যবহার করা হয়েছিল। ১৭৭৭ সালে জেমস হিকি কাঠের প্রেস তৈরি করেন, পরবর্তীতে পঞ্চানন কর্মকার প্রেসের জন্য বাংলা হরফ তৈরিতে এগিয়ে আসেন ও সফলতা লাভা করেন।
বাংলা সাহিত্যের আধুনিক যুগের প্রথম পর্যায়ের আরও কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা যেমন-

বাংলা গদ্যের উৎপত্তি
ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ
ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের পণ্ডিতগণ
শ্রীরামপুর মিশন
মোহামেডান লিটারেরি সোসাইটি
বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতি
ঢাকা মুসলিম সাহিত্য সমাজ
বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি
বাংলা একাডেমি
সমসাময়িক পত্রপত্রিকা

এসময় কিছু শ্রেষ্ঠ বাঙালি বাংলা সাহিত্য চর্চায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। অনেকে ব্যাকরণ গ্রন্থ প্রণয়ন করেন, বাংলা অক্ষর-যুক্তাক্ষর লেখার পদ্ধতিকে পরিশীলিত করেন। এছাড়া ছোট বাচ্চাদের উপযোগী বই লেখেন। যেসব বই শতাব্দী কাল ধরে বাঙ্গালির ঘরে ঘরে পঠিত হয়েছে। বাঙালি শিশু কিশোররা সে সব বইয়ের ছড়া-কবিতা মুখস্ত করে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের সাথে গড়েতুলেছে এক অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক। বঙ্গের এঁসকল কৃতী সন্তানদের মধ্যে রয়েছেন-

রাজা রামমোহন রায়
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
মদন মোহন তর্কালংকার
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
অক্ষয়কুমার দত্ত