আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট

অমর একুশে ফেব্রুয়ারিকে জাতিসংঘ কর্তৃক ১৯৯৯ সনের ১৭ নভেম্বর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করা হলে বাংলাদেশের ধর্ম, বর্ণ, গোষ্ঠী, সম্প্রদায় নির্বিশেষে মানুষের মধ্যে অভূতপূর্ব আনন্দের সৃষ্টি হয়। এ অর্জনে সকলে উজ্জীবিত হয় ও গৌরব বোধ করে। তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ৭ ডিসেম্বর পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত বিশাল জনসভায় ঘোষণা করেন যে, ‘পৃথিবীর বিকাশমান ও বিলুপ্তপ্রায় ভাষাগুলির মর্যাদা ও অধিকার রক্ষায় গবেষণা করার জন্য’ ঢাকায় একটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হবে। সে-অনুযায়ী তিনি ১৫ মার্চ ২০০১ ঢাকার ১/ক সেগুনবাগিচায় তৎকালীন জাতিসংঘের মহাসচিব কফি এ আনান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এখানে দেশি ও বিদেশী ভাষা বিষয়ক গবেষকদের গবেষনা করার সুযোগ রয়েছে।

Category 2 Institute and centres

UNESCO- এর পৃষ্ঠপোষকতায় কোন সদস্য রাষ্ট্র Category 2 Institute and centres প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করে। কার্যত Category 2 Institute and centres গুলো UNESCO-এর কোন অংশ নয়, কিন্তু UNESCO-এর লক্ষ্য উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সহযোগী হিসাবে আঞ্চলিক বা আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে কাজ করে। যা সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে বিশেজ্ঞ ও কারিগরি জ্ঞান দিয়ে সহায়তা করে।

১২ জানুয়ারি, ২০১৬ প্যারিসে UNESCO-এর হেডকোয়ার্টারে“আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট” কে Category 2 centres এর মর্যাদা দেওয়া হয়। এবং বলা হয় যে “আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট” শিক্ষা, সমাজ, সংস্কৃতি ও ভাষার উন্নয়নে কাজ করবে।

Add a Comment