সুন্দরবন ও পরিবেশ

১৯৯৯ সালে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সুন্দরবনের চারপাশের ১০ কিমি এলাকাকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা(ইসিএ) ঘোষণা করে।

২০১০ সালে সুন্দরবনের পাশে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও মাটি ভরাটের কাজ শুরু হয়।

২০১১ সালের মধ্যেই প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা এই অঞ্চলে ২০০টির মতো শিল্পকারখানা করার উদ্যোগ নেন, জমি কিনে তা ভরাট করেন।

পরিবেশের উপর প্রভাব
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ সুন্দরবনের চারপাশের সব কারখানা পুরোদমে চালু হওউয়ার আগেই সুন্দরবনের ক্ষতি শুরু হয়েছে। বনের শুধু উদ্ভিদ ও প্রাণীই ধ্বংস হচ্ছে না, কারখানার আশপাশের এলাকার খাদ্যচক্রও ভেঙ্গেপড়ছে।

সুন্দরবনের পাশে ১০কিমির মধ্যে শিল্পকারখানা ১৯০টি এর মধ্যে মারাত্মক দূষণকারী ২৪টি। কারখানার পার্শ্ববর্তী নদীতে প্রতি ঘণ্টায় ৭-৮টি ডলফিন দেখা গেছে। আর কারখানা নেই এমন স্থানে এই সংখ্যা ১৫-১৭টি। কারখানা সংলগ্ন এলাকার মাটি ও বায়ুতে ক্ষতিকারক পদার্থের পরিমান বেড়ে যাচ্ছে।

পানিতে ভাসমান ক্ষতিকারক পদার্থ বেড়ে যাওয়ায় পানির নিচে যথেষ্ট পরিমাণ অক্সিজেন পৌঁছাতে পারছে না। ফলে খাদ্য চক্রের প্রথম স্তরের শক্তি উৎপাদক উদ্ভিদ কণা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যা সম্পূর্ণ খাদ্য চক্রে প্রভাব ফেলবে।

সুন্দরী গাছে শ্বাস মূলে শিল্প বর্জ্য জমে থাকতে দেখা গেছে। এতে বৃক্ষের জন্য অক্সিজেন সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। কারখানা আছে এমন এলাকার পাশে জোয়ারভাটায় সুন্দরী গাছের ৭০% বীজ নষ্ট হচ্ছে । ফলে ঐসব এলাকায় নতুন করে আর সুন্দরী গাছ জন্মাচ্ছে না।

রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অর্থনৈতিক গুরুত্ব
দেশের সামগ্রিক চাহিদার ১৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে।
গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চাহিদা কমে আসবে।
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাবে।
নদীপথ থাকায় বিদেশ থেকে কয়লা আমদানি সহজ হবে।


👉 Read More...👇

Add a Comment