সরকারি চাকরিতে গ্রেড এবং শ্রেণি

অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেল -২০১৫ পাশ হয়ার পর সরকারি চাকরিতে শ্রেণি বিভাজন আর নেই। এখন সবার পদমর্যাদা ঠিক হয় গ্রেড দিয়ে। আগে ছিল চারটি শ্রেণি।
প্রথম শ্রেণি, দ্বিতীয় শ্রেণি, তৃতীয় শ্রেণি ও চতুর্থ শ্রেণি। অনেকে শ্রেণি ও চতুর্থ শ্রেণিকে অবজ্ঞা ভরে বলত, নিতো ও শুনতো। তাই এ ব্যবস্থার পরিবর্তন করে গ্রেডিং সিস্টেম করা হয়। জাতীয় বেতনস্কেল ২০১৫ অনুযায়ী বিশটি গ্রেড করা হয়েছে।

শ্রেণিকরণের পাশাপাশি টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড ও বাদ দেওয়া হয়েছে। কারণ কেউ টাইম স্কেল পায় কেউ পায় না। কেউ সিলেকশন গ্রেড পায়, বেশির ভাগ কর্মচারী সিলেকশন গ্রেড পায় না। এখন সবার জন্যই বেতন বাড়বে, সবার জন্যই ইনক্রিমেন্ট হবে। নতুন পে-স্কেলে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন বাড়বে চক্রবৃদ্ধি হারে। এই সুবিধা সবাই ভোগ করবে।

যদিও ঠিক না, তারপরও কেউ যদি সরকারি চাকরির শ্রেণির সমতুল্য গ্রেড দেখতে যান তবে, তা নিম্নোক্তভাবে করা যায়-
প্রথম শ্রেণি- ১ম থেকে ৯ম গ্রেড
দ্বিতীয় শ্রেণি- ১০ম থেকে ১৩শ গ্রেড
তৃতীয় শ্রেণি- ১৪শ থেকে ১৭শ গ্রেড
চতুর্থ শ্রেণি- ১৮শ থেকে ২০শ গ্রেড

প্রথম গ্রেডের বেসিক বেতন ৭৮,০০০ টাকা। বিংশতম গ্রেডের বেতন ৮২৫০টাকা। যারা বিসিএস ক্যাডার হন, তারা নবম গ্রেডে ২২,০০০ টাকা বেতন নিয়ে চাকরিতে প্রবেশ করেন।

উল্লেখ্য যে ১ থেকে ১৩ গ্রেড অর্থাৎ প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে কোটা প্রযোজ্য নয়। এসকল(৯-১৩) গ্রেডে চাকরি পেতে হলে মেধার মাধ্যমে আসতে হবে।