মুক্তিযুদ্ধের ১১টি সেক্টর

বিগত সালের BCS Preliminary- তে এখান থেকে প্রশ্ন এসেছে টি।

মুজব নগর সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ, প্রধান সেনাপতি ছিলেন কর্নেল আতাউল গনি ওসমানী, সেনাপ্রধান ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুর রব, উপপ্রধান ও বিমান বাহিনী প্রধান ছিলেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন একে খন্দকার।

১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী বাংলাদেশের প্রধান সেনাপতি নিযুক্ত হন। যুদ্ধ পরিচালনার সুবিধার্থে তিনি সমগ্র দেশকে প্রথমে চারটি ও পরেরদিন ১১ এপ্রিলে তা সংশোধন করে ১১ টি সেক্টর এবং ৬৪ টি সাব-সেক্টরে ভাগ করেন। বাংলাদেশকে এগারটি প্রশাসনিক অঞ্চল বিভক্ত করে সংশ্লিষ্ট এলাকার সংসদ সদস্য বা আওয়ামী লীগ নেতাদের অঞ্চলগুলোর দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ সময় তিনটি ব্রিগেড গঠিত হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমেই সার্বিক মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়।

নৌকমান্ড নিয়ে গঠিত হয় ১০নং সেক্টর। (৩৯তম বিসিএস প্রিলিমিনারি) ১০ নং সেক্টরে কোন নিয়মিত সেক্টর কমান্ডার ছিল না। ছিলনা এই সেক্টরের কোন সদরদপ্তর। এই সেক্টর কর্তৃক পরিচালিত সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য ও সফল অভিযানের নাম অপারেশন জ্যাকপট।

মুক্তিযুদ্ধের ১১টি সেক্টরের সদর দফতরের নাম
=======================
#হরি #মালাকে #কলা দেখিয়ে #নাসিমপুরের #বাঁশতলা দিয়ে #বুড়িগঙ্গার #তীর থেকে #বেনাপোলে #হাসতে হাসতে #মাহেন্দ্রগঞ্জ গেল

১নং সেক্টরের সদর দফতর = হরিণা
২নং সেক্টরের সদর দফতর = মেলাঘর
৩নং সেক্টরের সদর দফতর = কলাগাছি
৪নং সেক্টরের সদর দফতর = নাসিমপুর
৫নং সেক্টরের সদর দফতর = বাঁশতলা
৬নং সেক্টরের সদর দফতর = বুড়ি মাড়ি
৭নং সেক্টরের সদর দফতর = তরঙ্গপুর
৮নং সেক্টরের সদর দফতর = বেনাপোল
৯নং সেক্টরের সদর দফতর = হাসনাবাদ
১0নং সেক্টরের সদর দফতর = ছিল না
১১নং সেক্টরের সদর দফতর = মহেন্দ্রগঞ্জ

Add a Comment