বেসামরিকীকৃত সরকার

অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে সামরিক শাসন জারির পর ধীরে ধীরে সেই সামরিক সরকার গণভোট, সাধারণ নির্বাচন এবং বেসামরিক লোকদের মন্ত্রিসভায় গ্রহণের মাধ্যমে সামরিক হতে সিভিল বা বেসামরিক সরকারে প্রত্যাবর্তনের যে পর্যায় তৈরি করে, তাকে বেসামরিকীকৃত সরকার বলে। এ ধরনের সরকারে নির্বাচন দেওয়া হয়, তবে সে নির্বাচন অনেকটা লোক দেখানো। এতে নিয়ন্ত্রিত ও ভোট কারচুপির নির্বাচন হয়। গণমানুষের অংশগ্রহণ স্বতঃস্ফুর্ত হয় না। এ সরকারে যারা ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করেন তারা মূলত সামরিক জান্তার সমর্থনপুষ্ট সামরিক কর্মকর্তা। সরকারের মন্ত্রিসভায় অবসরপ্রাপ্ত সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, অবসরপ্রাপ্ত আমলা, ব্যবসায়ী ও গণধিকৃত রাজনৈতিক নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয় বেশি। কোনো কোনো দেশে কিছুদিনের মধ্যে পাল্টা অভ্যুত্থানে সরকার পতনের মুখে আবার নতুন সামরিক সরকার ক্ষমতা দখল করে আবার কোথাও দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে সক্ষম হয়। যেমন- বাংলাদেশের এরশাদের বেসামরিকীকৃত সরকার প্রায় দশ বছর ক্ষমতায় ছিল। ইন্দোনেশিয়ায় সুহার্তো সরকার দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় অবস্থান করেছে।


👉 Read More...👇

Add a Comment