বিমসটেক(BIMSTEC)

Bay of Bengal Initiative for Multi-Sectoral Technical and Economic Cooperation(BIMSTEC).
বঙ্গোপসাগর এলাকার সাতটি দেশের অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের জন্য ১৯৯৭ সালে গঠিত হয় BIMSTEC. দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নের জন্য সার্ক গঠিত হলেও নানা কারনে তা থমকে আছে। সেই অচলাবস্থায় বিমসটেক ভালো ভূমিকা পালন করতে পারে। ১৪ টি ক্ষেত্রকে অগ্রাধিকার দিয়ে অনেকগুলো BIMSTEC কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। এই ১৪টির মধ্যে বাংলাদেশের দুটি উদ্যোগ-
১. Trade and Investment
২. Climate Change
আলোচনা সাপেক্ষে এক সময় মুক্ত বাণিজ্যিক এলাকা হতে পারে।

উদ্দেশ্যঃ এশিয়া ও দক্ষিণ এশিয়ার বঙ্গোপসাগরীয় এলাকার দেশ ৭ টি অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের লক্ষে বিমসটেক প্রতিষ্ঠিত হয়। কারিগরি ও বিজ্ঞান শিক্ষাকে ত্বরানিত করণ ও সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখা এর অন্যান্য লক্ষগুলো হল।
বাণিজ্য
বিনিয়োগ
প্রযুক্তি
পর্যটন
মানব সম্পদ উন্নয়ন
কৃষি
মৎস
পরিবহণ ও যোগাযো
চামরা শিল্প
টেক্সটাইল
ইত্যাতির বাধাসমূহ দূর করে ব্যপক প্রসার ঘটানো।

সচিবালয়ঃ ঢাকা বাংলাদেশ । এর ৩৩% ব্যয়ভার বহন করে ভারত।
প্রতিষ্ঠাঃ ৬ জুন ১৯৯৭
সভাপতিঃ নেপাল(২০১৪ থেকে) বর্ণানুক্রমে আবর্তিত হয়।
সদস্যঃ 7 টি
Bangladesh
Bhutan
India
Myanmar
Nepal
Sri Lanka
Thailand

বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডকে নিয়ে এই আঞ্চলিক জোটটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৯৭ সালে। তখন সদস্যদেশগুলোর নামের আদ্যাক্ষর দিয়ে এই জোটের পরিচিতি ঠিক করা হলেও পরে তাতে যুক্ত হয় নেপাল ও ভুটান। এরপর আদ্যাক্ষরগুলো ঠিক রেখে নাম বদলানো হয়। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই আঞ্চলিক জোট সার্ক ও আসিয়ানের মধ্যে সেতুবন্ধ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে এই ফোরাম যাত্রা শুরু করলেও কুড়ি বছরে তার তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি। বাণিজ্য, প্রযুক্তি, পরিবহন, পর্যটন, মৎস্যসম্পদ, কৃষিসহ প্রায় পনেরোটি খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর চেষ্টায় খুব একটা সাফল্য নেই। তবে ভারত আগ্রহী ও উদ্যোগী হওয়ার পর ২০১৬ সাল থেকে এই জোটের কার্যক্রম কিছুটা বেড়েছে এবং স্পষ্টতই আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিষয়টি সহযোগিতার একটি প্রধান অগ্রাধিকারে পরিণত হয়েছে।

Add a Comment