ইসলামী ব্যাংক

বিভিন্ন ধর্ম তাদের ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে ধর্মীয় অনুশাসন প্রয়োগকল্পে যে ব্যাংকগুলো প্রতিষ্ঠিত হয়, তাদের ধর্মীয় ব্যাংক বলে।

ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী দেশের প্রায় ৯০ ভাগ মুসলিম জনগোষ্ঠীকে সেবা দানের লক্ষ্যে ১৯৮৩ সালে সর্বপ্রথম বাংলাদেশে বেসরকারি ব্যাংক হিসাবে ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার প্রবর্তন হয়। অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংকের সাথে সেবা প্রধানের সামঞ্জস্য থাকলেও ইসলামি ব্যাংকিং ব্যবস্থায় আমানত গ্রহণ ও ঋণ প্রদানের নিম্নলিখিত পণ্য ও সেবা দেখতে পাওয়া যায়।

১) মুদারাবা: গ্রাহককে ব্যবসার মূলধন যোগান দেওয়া এবং ব্যবসায়ের শরিক হিসাবে তার মূলধন ব্যবস্থাপনা করা এই সেবার অংশ।

২) মুসারাকা: ব্যাংক এবং গ্রাহকের যৌথ উদ্যেগে ব্যবসা পরিচালনার মাধ্যমে লাভ ও লোকসান সমবণ্টনের মাধ্যমে এই ধরনের কারবার পরিচালনা করা হয়।

৩) মুরাবাহা: ঋণগ্রহীতাকে কোনো কিছু (গাড়ি, যন্ত্রপাতি) ক্রয়ের জন্য যখন অর্থায়ন করা হয়, তখন তাকে মুরাবাহা সেবা বলা হয়। এক্ষেত্রে ব্যাংক কিছু লাভসহ ঋণের অর্থ ফেরত পেয়ে থাকে।

৪) ইজারা: ব্যাংক কখনো কখনো ক্রেতার পক্ষ হয়ে গ্রাহকের অনুরোধে বিভিন্ন পণ্য ক্রয় করে এবং নিদিষ্ট সময়ের জন্য ক্রেতার ব্যবহারের জন্য তার কাছে হস্তান্তর করে। নির্দিষ্ট সময় শেষে গ্রাহক ব্যাংকের পণ্য ব্যাংকের নিকট ফেরত দেয় এবং ব্যবহারের সময়টুকুর জন্য ব্যাংককে নিদিষ্ট পরিমাণে ভাড়া প্রদান করে।

এছাড়া ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবস্থায় কার্দ-এ-হাসান, বাই-মুয়াজ্জেল, বাই-সালামসহ অন্যান্য পণ্য বিভিন্ন ব্যাংকে দেখতে পাওয়া যায়।

বর্তমানে বাংলাদেশে কর্মরত ইসলামি শরীয়াহ ভিত্তিক ব্যক্তিমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকের তালিকা নিম্নরূপ।

১। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড
২। আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড
৩। ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড
৪। আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক লিমিটেড
৫। শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড
৬। এক্সপোর্ট ইম্পোর্ট ব্যাংক অফ বাংলাদেশ লিমিটেড
৭। সোশ্যাইল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড
৮। ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড

Add a Comment