সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ

সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ তাঁর জন্ম চট্টগ্রাম শহরের ষোলশহর এলাকায়, ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগস্ট। তার স্ত্রী ফরাসিনী আন্-মারি লুই রোজিতা মার্সেল তিবো। তাদের আলাপ হয়েছিলো সিডনিতে। ওয়ালীউল্লাহ যেমন পাকিস্তানি দূতাবাসে, আন্-মারি তেমনি ছিলেন ফরাসি দূতাবাসে। দেড়-দু বছরের সখ্য ও ঘনিষ্টতা রূপান্তরিত হয় পরিণয় বন্ধনে।

সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর রচিত গ্রন্থ গুলো
উপন্যাসঃ লালসালু , চাঁদের অমাবস্যা, কাঁদো নদী কাঁদো ।
নাটকঃ বহিপীর, তরঙ্গভঙ্গ, সুড়ঙ্গ।
ছোটগল্পঃ নয়নচারা, দুই তীর ও অন্যান্য গল্প, ‘না কান্দে বুবু’, ‘শত্রু নাই’, ‘একটা তুলসী গাছের কাহিনী’, ‘পাগড়ি’

মিসেস মেরি ওয়ালীউল্লাহর প্রথম উপন্যাস লালসালু (১৯৪৮) ফরাসি ভাষায় অনুবাদ করেন। পরে এটি Tree Without Roots (১৯৬৭) নামে ইংরেজিতেও অনূদিত হয়। তাঁর অন্য দুটি উপন্যাস চাঁদের অমাবস্যা (১৯৬৪) ও কাঁদো নদী কাঁদো (১৯৬৮) বাংলা সাহিত্যে দুটি ব্যতিক্রমধর্মী সৃষ্টি। তিনি এ দুটি উপন্যাসে ‘চেতনাপ্রবাহ রীতি’ ও ‘অস্তিত্ববাদ’-এর ধারণাকে অসাধারণ রূপক ও শিল্পকুশলতায় মূর্ত করে তুলেছেন।

লালসালু উপন্যাসের প্রধান চরিত্র: মজিদ, খালেক ব্যাপারী, জমিলা, রহিমা, হাসুনীর মা, আক্কাস।

সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ। মাত্র ৪৯ বছর বয়সে, ১৯৭১ সালের ১০ অক্টোবর গভীর রাতে অধ্যয়নরত অবস্থায় মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ-জনিত কারণে প্যারিসে নিজস্ব ফ্ল্যাটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন

Add a Comment