বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ২৬শে জুন ১৮৩৮ খ্রিষ্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার অন্তর্গত কাঁঠালপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৮৫৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তিনি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম গ্রাজুয়েট। এবং সে বছরই ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও ডেপুটি কালেক্টর পদে চাকরিতে নিযুক্ত হন। বঙ্কিমচন্দ্র তেত্রিশ বছর একই পদে চাকরি করে ১৮৯১ সালে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি পাঠ্যাবস্থায়ই সাহিত্যচর্চা শুরু করেন। তাঁর অসামান্য কৃতিত্ব প্রকাশ পেয়েছে পাশ্চাত্য ভাবাদর্শে বাংলা উপন্যাস রচনার পথিকৃৎ হিসেবে। তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘Rajmohon’s Wife’ এটি ইংরেজি ভাষায় রচিত। তিনি ইংরেজ ঔপন্যাসিক স্যার ওয়াল্টার স্কট কতৃক প্রভাবিত হয়েছিলেন। তাঁকে বাংলা স্কট বলা হয়। ১৮৬৫ সালে প্রকাশিত তাঁর প্রথম বাংলা উপন্যাস দুর্গেশনন্দিনী বাংলা কথাসাহিত্যে এক নবদিগন্ত সৃষ্টি করে। তাঁর অন্যান্য উপন্যাস হলো :

রাধারানী, সীতারাম, রাজসিংহ, রজনী, যুগলাংগুরীয়, আনন্দমঠ, ইন্দিরা, দুর্গেশনন্দিনী, দেবী চৌধুরানী, বিষবৃক্ষ, কৃষ্ণকান্তের উইল, চন্দ্র শেখর, মৃনালিনী, কপাল কুণ্ডলা, (রাধারানী সীতার স্বামি রাজসিংহ অন্ধকার রজনীতে যুগলাংগুরীয় সীলযুক্ত কাগজে আনন্দমঠের ইন্দিরা পারের দুর্গাদেবির বিষবৃক্ষটি কৃষ্ণকান্তকে উইল করে দিলেন, এতে সাক্ষি ছিলেন চ ম ক । )

দেবী চৌধুরানী, রাধারানী, সীতারাম, রাজসিংহ, যুগলাংগুরীয়, আনন্দমঠ, ইন্দিরা,
দুর্গেশনন্দিনী(১৮৬৫) বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস।

বিষবৃক্ষ, কৃষ্ণকান্তের উইল, রজনী, বঙ্কিমচন্দ্র রচিত এ উপন্যাস তিনটি সামাজিক/গার্হস্থ্যধর্মী উপন্যাস।
কপাল কুণ্ডলা(১৮৬৬) কাব্যধর্মী উপন্যাস।

চন্দ্র শেখর, মৃনালিনী,

প্রবন্ধ সাহিত্যেও বঙ্কিমচন্দ্র কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। কমলাকান্তের দপ্তর, লোকরহস্য, কৃষ্ণ চরিত্র, বিজ্ঞানরহস্য, বিবিধ সমালোচনা, প্রবন্ধ-পুস্তক সাম্য, কৃষ্ণ চরিত্র, বিবিধ প্রবন্ধ, ইত্যাদি তাঁর উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধগ্রন্থ।

আনন্দমঠ, দেবী চৌধুরানী ও সীতারাম তাঁর আদর্শ প্রচারমূলক ত্রয়ী উপন্যাস

তিনি ‘বঙ্গদর্শন পত্রিকার’ সম্পাদনা করেন।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৮৯৪ সালের ৮ই এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন।

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত কয়েকটি উক্তি-

  1. তুমি অধম তাই বলে আমি উত্তম না হব কেন?- বঙ্কিমচন্দ্রের কপালকুণ্ডলা (৩২তম বিসিএস প্রিলিমিনারি)
  2. পথিক তুমি পথ হারাইয়াছ?- বঙ্কিমচন্দ্রের কপালকুণ্ডলা (কপালকুণ্ডলা নবকুমারকে বলে)
  3. প্রদীপ নিবিয়া গেল! বঙ্কিমচন্দ্রের কপালকুণ্ডলা (৩৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি)
  4. কিন্তু মানুষ্য কখনো পাষাণ হয় না’- রাজসিংহ (৪০তম বিসিএস প্রিলিমিনারি)