কাজী নজরুল ইসলাম এর নিষিদ্ধ গ্রন্থ ও কারাদণ্ড

বিগত সালের BCS Preliminary- তে এখান থেকে প্রশ্ন এসেছে টি।

নিষিদ্ধ কাব্যগ্রন্থঃ এগুলো ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত হয়েছিল- বিষের বাঁশি, ভাঙ্গার গান, প্রলয়শিখা, যুগবাণী, চন্দ্রবিন্দু।

যে সকল কবিতা রচনার জন্য কাররুদ্ধ হনঃ

আনন্দময়ীর আগমনেঃ ধুমকেতুর ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯২২ সংখ্যায় প্রকাশ হলে ৮ নভেম্বরের ঐ পত্রিকার সংখ্যা নিষিদ্ধ করা হয় । ব্রিটিশ সরকার ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেন। মনে রাখবেন পত্রিকার ঐ সংখ্যাটি নিষিদ্ধ করা হয়। কোন কাব্যগ্রন্থ নিষিদ্ধ করা হয়নি। (২৬, ২৫, ২২তম বিসিএস প্রিলিমিনারি)

প্রলয়শিখাঃ প্রলয়শিখা কবিতা রচনার জন্য ৬ মাস কারারুদ্ধ হন।

ধুমকেতু পত্রিকার সেপ্টেম্বর ২৬, ১৯২২ সংখ্যায় প্রকাশিত প্রচ্ছন্ন রাজনৈতিক কবিতা ‘আনন্দময়ীর আগমনে’ প্রকাশ হলে ৮ নভেম্বর পত্রিকার উক্ত সংখ্যাটি নিষিদ্ধ করা হয়। আর এ কবিতা রচনার জন্য বৃটিশ সরকার কবিকে ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।

নজরুলের প্রবন্ধগ্রন্থ যুগবাণী বাজেয়াপ্ত হয় ২৩ নভেম্বর ১৯২২। একই দিনে নজরুলকে কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করে কলকাতায় আনা হয়। বিচারাধীন বন্দি হিসেবে ১৯২৩ সালের ৭ জানুয়ারি নজরুল আত্মপক্ষ সমর্থন করে চিফ প্রেসিডেন্সি ম্যাজিস্ট্রেট সুইনহোর আদালতে যে জবানবন্দী প্রদান করেন, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে তা ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’ নামে সাহিত্য-মর্যাদা পেয়ে আসছে। ১৬ জানুয়ারি বিচারের রায়ে নজরুল এক বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন।

Add a Comment