বৈষ্ণব পদাবলী

  • বৈষ্ণব পদাবলির চারজন/তিনজন/দুজন শ্রেষ্ট পদকর্তার নাম লিখুন। (৩৩, ৩২, ২৫, ২১তম বিসিএস লিখিত)
  • বৈষ্ণব পদাবলি কী? এগুলো কোন্‌ শতাব্দীর রচনা? (২৯তম বিসিএস লিখিত)

বৈষ্ণব পদাবলী সাহিত্যর সূচনা ঘটে চর্তুদশ শতকে। চতুর্দশ শতকের শেষ দিক থেকে পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষার্ধ পর্যত্ন। এ পদ গুলোতে বৈষ্ণব বা বৌদ্ধ ধর্মের নিগূঢ় তত্ত্বের প্রতিফলন ঘটেছে। বৈষ্ণব পদাবলীর প্রধান অবলম্বন রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলা। যেখানে রাধাকে ভক্ত বা জীবাত্না এবং কৃষ্ণকে ভগবান বা পরমাত্না রূপে কল্পনা করা হয়েছে। এতে বৈষ্ণব ধর্মের প্রতিফলন ঘটেছে।

বৈষ্ণব পদাবলির শিল্পীরা ছিলেন নরহরি সরকার , বাসু ঘোষ, লোচন দাস,জ্ঞানদাস, গোবিন্দদাস, প্রমুখ। ‘লীলাকীর্তন’ সংগঠনের প্রধান, নরোত্তম ঠাকুর ও ছিলেন শিল্পী। অনেক মুসলিম কবি ও পদাবলী রচনা করেছেন। পদাবলী সাহিত্যের কবিদের মাঝে চারজন বিখ্যাত কবি হলেন।
বিদ্যাপতি
চন্ডিদাস
গোবিন্দদাস
জ্ঞানদাস

বৈষ্ণব পদাবলীতে মোট পাঁচটি রসের কথা পাওয়া যায়- শান্ত, দাস্য, সখ্য, বাৎসল্য ও মধুর। এখানে শৃংগার রসকে প্রেম রস বলা হয়েছে। এতে অন্য চারটি রস অপেক্ষা মধুর রসের পদসংখ্যাই বেশি।

পদাবলীর সকল রচনা এখনও সংগৃহীত হয়নি। যা সংগ্রহ করা হয়েছে তার সংখ্যা ৭/৮ হাজারের মত। পদকর্তার সংখ্যা প্রায় দেরশতাধিক। বৈষ্ণব পদাবলী গুলো প্রথমে মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত ছিল। লোকের মুখ থেকে এগুলো প্রথমে সংকলন করেন বাবা আউল মনোহর দাস। তিমি “পদসমুদ্র” নামে ১৬ শতকের শেষের দিকে এ সংকলন প্রকাশ করেন।

Add a Comment