ভাগবত

ভাগবত (“ভগবান” শব্দের বর্ধিত রূপ; শব্দার্থ “ভগবান-সম্পর্কিত”) হিন্দুধর্মের একটি দার্শনিক ধারণা। এই ধারণায় ভক্তি হল পূজার প্রাথমিক উপাদান। “ভগবৎ” শব্দের অর্থ “পূজনীয়” এবং “ভাগবত” শব্দের অর্থ হল “যিনি পূজনীয়ের পূজা করেন।” “ভাগবত” বলতে একটি কৃষ্ণ-উপাসনা প্রথাকে বোঝায়।

মালাধর বসু গুণরাজ খাঁ মধ্যযুগীয় বাঙালি কবি। তিনি ছিলেন পঞ্চদশ শতাব্দীর একজন কবি। তিনি প্রথম বাংলা ভাষায় ভাগবত পুরাণ বা ভাগবত অনুবাদ করেন। তাঁর অনূদিত কাব্যটির নাম শ্রীকৃষ্ণবিজয়। মালাধর বসুই ভাগবতের প্রথম অনুবাদক। তাঁর আগে অন্য কোনো ভাষায় ভাগবত অনূদিত হয়নি।

রুকনুদ্দিন বরবক শাহ
রুকনুদ্দিন বরবক শাহ ছিলেন ইলিয়াস শাহী বংশের সুলতান নাসিরউদ্দীন মাহমুদের পুত্র। সিংহাসনে আরোহণের পূর্বে তথা তাঁর পিতার রাজত্বকালে তিনি ছিলেন সাতগাঁ এর শাসনকর্তা। বরবক শাহ নিজে বিদ্বান ছিলেন এবং বিদ্বান ব্যক্তিদের সম্মান ও পৃষ্ঠপোষকতা করতেন। তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় মালাধর বসু ‘শ্রীকৃষ্ণবিজয়'(ভাগবত) গন্থ রচনা করেন। বরবক শাহ মালাধর বসুকে ‘গুনরাজ খান’ উপাধি দেন। মালাধর বসুর পুত্র সত্যরাজ ও তাঁর কাছ থেকে খান উপাধি পেয়েছিলেন।

বরবক শাহের উত্তরাধিকারী হিসাবে তাঁর পুত্র শামসউদ্দীন ইউসুফ শাহ সিংহাসনে আরোহণ করেন। গৌড়ের কদমরসুল মসজিদ, দরসবাড়ি মসজিদ ও তাঁতাইপাড়া মসজিদ বিশেষ উল্লেখযোগ্য। কানিংহামের মতে গৌড়ের লোটন মসজিদ ও তাঁরই কীর্তি।

Add a Comment