সন্ধি

বিগত সালের BCS Preliminary- তে এখান থেকে প্রশ্ন এসেছে টি।

সংজ্ঞা সন্নিহিত দুটি ধ্বনির মিলনের নাম সন্ধি। যেমন – আশা + অতীত = আশাতীত। হিম + আলয় = হিমালয়। প্রথমটিতে আ + অ = আ এবং দ্বিতীয়টিতে অ + আ = আ হয়েছে। আবার, তৎ + মধ্যে =তন্মধ্যে, এখানে ত + ম = ন্ম হয়েছে।

সন্ধির উদ্দেশ্য
(ক) সন্ধির উদ্দেশ্য স্বাভাবিক উচ্চারণে সহজপ্রবণতা (১৮তম বিসিএস প্রিলিমিনারি) এবং
(খ) ধ্বনিগত মাধুর্য সম্পাদন। যেমন— ‘আশা’ ও ‘অতীত’ উচ্চারণে যে আয়াস প্রয়ােজন, ‘আশাতীত’ তার চেয়ে অল্প আয়াসে উচ্চারিত হয়। সেরূপ ‘হিম আলয়’ বলতে যেরূপ শােনা যায়, ‘হিমালয়’ তার চেয়ে সহজে উচ্চারিত এবং শ্রুতিমধুর।

তাই যে ক্ষেত্রে আয়াসের লাঘব হয় কিন্তু ধ্বনি-মাধুর্য রক্ষিত হয় না, সে ক্ষেত্রে সন্ধি করার নিয়ম নেই। যেমন – কচু + আদা + আলু =কচ্চাদালু হয় না। অথবা কচু + আলু + আদা = কচ্চাল্বাদা হয় না।

বাংলা সন্ধি দুই প্রকার যথা-
১. বাংলা স্বরসন্ধি
২. বাংলা ব্যঞ্জন সন্ধি

তৎসম শব্দের সন্ধি বাংলা ভাষায় বহু সংস্কৃত শব্দ অবিকৃত অবস্থায় রয়েছে। এসব শব্দই তৎসম (তৎ = তার + সম = সমান)। তার সমান অর্থাৎ সংস্কৃতের সমান। এ শ্রেণির শব্দের সন্ধি সংস্কৃত ভাষার নিয়মেই সম্পাদিত হয়ে এসেছে। বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত তৎসম সন্ধি তিন প্রকার :
(১) সংস্কৃত স্বরসন্ধি
(২) সংস্কৃত ব্যঞ্জন সন্ধি
(৩) বিসর্গ সন্ধি

যে সকল সন্ধি কোন নিয়ম অনুসারে হয় না সেগুলোকে নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি বলে।

Add a Comment