শব্দের গঠনমূলক শ্রেণিবিভাগ

গঠনগত দিক থেকে শব্দ কে দুই ভাগে ভাগ করা যায়

ক. মৌলিক শব্দ
খ. সাধিত শব্দ

ক. মৌলিক শব্দ: যেসব শব্দ বিশ্লেষণ করা যায় না বা ভেঙে আলাদা করা যায় না, সেগুলোকে মৌলিক শব্দ বলে। যেমন – গোলাপ (৩৭, ১৪তম বিসিএস প্রিলিমিনারি) , নাক, লাল, তিন।

খ.সাধিত শব্দ: যেসব শব্দকে বিশ্লেষণ করা হলে আলাদা অর্থবোধক শব্দ পাওয়া যায়, সেগুলোকে সাধিত শব্দ বলে। সাধারণত একাধিক শব্দের সমাস হয়ে কিংবা প্রত্যয় বা উপসর্গ যোগে হয়ে সাধিত শব্দ গঠিত হয়ে থাকে। উদাহরণ : চাঁদমুখ (চাঁদের মতো মুখ), নীলাকাশ (নীল যে আকাশ), ডুবুরি (ডু+উরি) , চলন্ত (চল্ + অন্ত), প্রশাসন (প্রশাসন), গরমিল (গর+মিল) ইত্যাদি।

সাধিত শব্দ নিম্নলিখিত উপায়ে গঠিত হতে পারে-
১. প্রত্যয় নিষ্পন্ন
২. সমাস
৩. উপসর্গ যোগে
৪. শব্দ দ্বিরুক্তি
৫. লিঙ্গান্তর

Add a Comment