পত্রলিখন

পত্র শব্দের আভিধানিক অর্থ চিহ্ন বা স্মারক। কিন্তু ব্যবহারিক দিক থেকে এটি ‘চিঠি’ শব্দের প্রতিশব্দ হিসাবেই ব্যবহার হয়।

সাধারণত পত্রের দুটি অংশ থাকে
i. শিরোনামঃ খামের উপরে প্রেরক ও প্রাপকের নাম ঠিকানাকে শিরোনাম বলে। ঠিকানা না থাকলে বা স্পষ্টভাবে না লিখলে তা Dead Letter বলে গণ্য হয়।
ii. পত্রগর্ভ বা অন্তর্ভাগঃ এতে পত্রের মূল বিষয়বস্তু থাকে।

পত্র সাধারণত দুই প্রকার
ক. অনানুষ্ঠানিক/পারিবারিক/বাক্তিগত
খ. আনুষ্ঠানিক/ব্যবহারিক/বৈষয়িক

কয়েকটি বিষয়ঃ

  • পত্র সহজ সরল ভাষায় হওয়া বাঞ্চনীয়। জটিল ভাষায় হলে ‘যোগাযোগ ব্যাহত’ হবে।
  • বাক্তিগত বা পারিপারিক পত্র ছাড়া আবেগকে প্রাধান্য দেওয়া যাবে না।
  • বক্তব্যকে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে না বলা স্পষ্টভাবে বক্তব্য পেশ করা উচিৎ।

ব্যাপক ভাবে পত্রকে নিম্নোক্তভাগে ও ভাগ করা যায়-
১. ব্যক্তিগত পত্র
২. আবেদন পত্র
৩. সংবাদ পত্রে প্রকাশের জন্য পত্র
৪. মানপত্র বা অভিনন্দন পত্র
৫. বাণিজ্যিক পত্র
৬. সামাজিক পত্র বা নিমন্ত্রণ পত্র
৭. স্মারকলিপি বা অভিযোগ পত্র
৮. জীবন বৃত্তান্ত চাকরির আবেদন পত্র
৯. তাগাদা পত্রঃ ব্যবসা বাণিজ্যে বা বৈষয়িক বিষয়ে পাওনা আদায়ে যে পত্র লেখা হয়।

Add a Comment