পংক্তি ও উদ্ধৃতি ২

  1. পথিক তুমি পথ হারাইয়াছ?- বঙ্কিমচন্দ্রের কপালকুণ্ডলা (কপালকুণ্ডলা নবকুমারকে বলে)
  2. পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি/ এ জীবন মন সকলি দাও, তার মত সুখ কোথাও কি আছে? আপনার কথা ভুলিয়া যাও- কামিনী রায়ের সুখ কবিতা।
  3. পাখি সব করে রব রাতি পোহাইল, কাননে কুসুমকলি ফুটিয়া উঠিল- মদনমোহন তর্কালঙ্কার (২৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি)
  4. প্রদীপ নিবিয়া গেল! বঙ্কিমচন্দ্রের কপালকুণ্ডলা (৩৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি)
  5. প্রীতি ও প্রেমের পূন্য বাধনে যবে মিলি পরস্পরে, স্বর্গে আসিয়া দাঁড়ায় তখন আমাদেরি কুঁড়ে ঘরে।- স্বর্গ ও নরক শেখ ফজলূল করিম।
  6. ফুল ফুল তুলতুল গা ভেজা শিশিরে, বুলবুল মশগুল কার গান গাহিরে- পারিব না, কালী প্রসন্ন ঘোষ
  7. বউ কথা কও, বউ কথা কও, কও কথা অভিমানিনী/ সেধে সেধে কেঁদে কেঁদে/ যাবে কত যামিনী- কাজী নজরুল ইসলাম। (১৪তম বিসিএস প্রিলিমিনারি)
  8. বন্ধু তোমার ছাড় উদ্বেগ, সূতীক্ষ্ণ কর চিত্ত, বাংলার মাটি দুর্জয় ঘাটি বুঝে নিক দুর্বৃত্ত- উদ্যোগ, সুকান্ত ভট্টাচার্য।
  9. বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রড়ে- অর্থঃ জীব মাত্রই স্বাভাবিক অবস্থানে সুন্দর। (১৩তম বিসিএস প্রিলিমিনারি)
  10. বহু দেশ দেখিয়াছি বহু নদ-দলে কিন্তু এ স্নেহের তৃঞ্চা মিটে কার জলে? -কপোতাক্ষ নদ, মধুসূদন দত্ত।
  11. বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ঐ – যতীন্দ্রমোহন বাগচী।
  12. বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই নি আর – জীবনানন্দ দাশের।
  13. বাবুই পাখিরে ডাকি, বলিছে চড়াই, কুড়ে ঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াই; আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা পড়ে, তুমি কত কষ্টপাও রোদ বৃষ্টি ঝরে- স্বাধীনতার সুখ, রজনীকান্ত সেন।
  14. বিপদে মোরে রক্ষা কর এ নহে মোর প্রার্থনা বিপদে আমি না যেন করি ভয় । রবীন্দ্রনাথের আত্মত্রাণ।
  15. বিশ্ব যা’ কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যানকর অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর -নারী কবিতা, কাজী নজরুল ইসলাম।
  16. ভাত দে হারামজাদা, তা না হলে মানচিত্র খাব! রফিক আজাদ।
  17. ভাষা মানুষের মুখ থেকে কলমের মুখে আসে, উল্টোটা করতে গেলে মুখে শুধু কালি পড়ে- (২৪তম বিসিএস প্রিলিমিনারি)
  18. মধুর চেয়েও আছে মধুর সে আমার এই দেশের মাটি/ আমার দেশের পথের ধুলা খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি- সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত। (১৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি)
  19. মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন – ভারতচন্দ্রের।
  20. মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী আর হাতে রণ-তুর্য- কাজী নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতা।
  21. মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে, মানবের মাঝে আমি বাঁচিবার চাই- কড়ি ও কোমল, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
  22. মহাজ্ঞানী মহাজন, যে পথে করে গমন হয়েছেন প্রাতঃস্মরনীয়। – জীবন সঙ্গীত, হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়।
  23. মহা নগরীতে এল বিবর্ন দিন, তারপর আলকাতরার মত রাত্রী- কবি সমর সেন।
  24. মাগো, ওরা বলে, সবার কথা কেরে নেবে, তোমার কোলে শুয়ে গল্প শুনতে দেবে না- আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ।
  25. মাতৃভাষায় যাহার ভক্তি নাই সে মানুষ নহে- মীর মোশাররফ হোসেন (৩৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি)
  26. মানুষের মাঝে স্বর্গ নরক, মানুষেতে সুরাসুর- শেখ ফজলল করিম। (১৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি)
  27. মানুষ মরে গেলে পচে যায় , বেঁচে থাকলে বদলায় – রক্তাক্ত প্রান্তর, মুনির চৌধুরী
  28. মোদের গরব মোদের আশা, আ মরি বাংলা ভাষা। – অতুল প্রসাদ সেনের আ মরি বাংলা ভাষা। (১২তম বিসিএস প্রিলিমিনারি)
  29. যুদ্ধ মানে শত্রু শত্রু খেলা, যুদ্ধ মানেই আমার প্রতি তোমার অবহেলা- নির্মলেন্দু গুন।
  30. যে জন দিবসে মনের হরষে জ্বালায় মোমের বাতি আশু গৃহে তার দেখিবে না আর নিশিতে প্রদীপভাতি। – কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের মিতব্যয়িতা।
  31. যে শিশু ভুমিষ্ঠ হল আজ রাত্রে তার মুখে খবর পেলুমঃ সে পেয়েছে ছাড়পত্র এক- ছাড়পত্র সুকান্ত ভট্টাচার্য।
  32. যে সব বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী, সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি- বঙ্গবাণী, আব্দুল হাকিম।
  33. রক্ত ঝরাতে পারি না তো একা, তাই লিখে যাই এ রক্ত লেখা – কাজী নজরুল ইসলাম।
  34. রানার ছুটেছে তাই ঝুমঝুম ঘন্টা রাজছে রাতে রানার চলেছে খবরের বোঝা হাতে- সুকান্ত ভট্টাচার্যের রানার।
  35. রূপলাগি অখিঁ ঝুরে গুনে মন ভোর, প্রতি অঙ্গ লাগি কান্দে প্রতি অঙ্গ মোর। – জ্ঞানদাস।
  36. শিশুরাজ্যে এই মেয়েটি একটি ছোটখাট বর্গির উপদ্রব বলিলেই হয়- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সমাপ্তি গল্প থেকে।
  37. শুনহ মানুষ ভাই, সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই- চণ্ডীদাস।
  38. শৈবাল দীঘিরে বলে উচ্চ করি শির, লিখে রেখ, এক ফোটা দিয়াম শিশির। মূল প্রতিপাদ্য- অকৃতজ্ঞতা (১৩তম বিসিএস প্রিলিমিনারি)
  39. শোনা গেল লাশ কাটা ঘরে নিয়ে গেছে তারে; কাল রাতে ফাগুন রাতের চাঁদ মরিবার হলো তার সাধ- জীবনানন্দ দাশের।
  40. সংসারেতে ঘটিলে ক্ষতি লভিলে শুধু বঞ্চনা নিজের মনে না যেন মানি ক্ষয় – আত্মত্রান, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
  41. সই, কেমনে ধরিব হিয়া আমার বধুয়া আন বাড়ি যায় আমার আঙিনা দিয়া। – চন্ডিদাস।
  42. সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে মোরা পরের তরে। – সুখ কামিনী রায়।
  43. সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি/ সারাদিন আমি যেন ভালো হয়ে চলি- মদনমোহন তর্কালঙ্কার। (৪০, ৩০তম বিসিএস প্রিলিমিনারি)
  44. সন্ধ্যারাগে ঝিলিমিলি ঝিলমের স্রোতখানি বাঁকা- রবীন্দ্রনাথের বলাকা কাব্যের কবিতা। (২৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি)
  45. সবকটি জানালা খুলে দাও না- গানটির গীতিকার নজরুল ইসলাম বাবু (১৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি)
  46. সব পাখি ঘরে আসে সব নদী ফুরায় এ জীবনের সব লেন দেন; থাকে শুধু অন্ধকার- বনলতা, সেন জীবনানন্দ দাশ।
  47. সাত কোটি সন্তানের হে মুগ্ধ জননী, রেখেছ বাঙালী করে মানুষ করনি।- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
  48. সাহেব কহেন, ‘চমৎকার! সে চমৎকার!’ মোসাহেব বলেন, ‘চমৎকার সে হতেই হবে যে, হুজুরের মতে অমত কার?’- তোষামদ, কাজী নজরুল ইসলাম।
  49. সুখের লাগিয়া এ ঘর বাঁধিনু অনলে পুড়িয়া গেল- জ্ঞানদাসের সুখের লাগিয়া এ ঘর বাঁধিনু।
  50. সুন্দর হে, দাও দাও সুন্দর জীবন, হউক দূর অকল্যাণ সফল অশোভন। শেখ ফজলল করিম। (১৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি)
  51. সুরঞ্জনা, ঐখানে যেয়ো না তুমি বোলো নাকো কথা ওই যুবকের সাথে- সুরঞ্জনা, জীবনানন্দ দাশ।
  52. স্বাধীনতাহীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে, কে বাঁচিতে চায়- স্বাধীনতা, রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়।
  53. স্মৃতির মিনার ভেঙ্গেছে তোমার? ভয়কি কি বন্ধু, আমরা এখনো – আলাউদ্দিন আল আজাদ।
  54. হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছে পৃথিবীর পথে সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগরে- বনলতা সেন, জীবনানন্দ দাশ।
  55. হিমালয় থেকে সুন্দরবন, হঠাৎ বাংলাদেশ কেঁপে কেঁপে ওঠে পদ্মার উচ্ছাসে- সুকান্ত ভট্টাচার্য।
  56. হে কবি, নিরব কেন ফাগুন যে এসেছে ধরায়, বসন্তে বরিয়া তুমিউ ল’বে নাকি তব বন্দনায়- বেগমসুফিয়া কামালের কবিতা তাহারেই পড়ে মনে।
  57. হে দারিদ্র্য তুমি মোরে করেছ মহান, তুমি মোরে দানিয়াছ খ্রিস্টের সম্মান, কন্টক মুকুট শোভা। দারিদ্র্য, কাজী নজরুল ইসলাম।
  58. হে বঙ্গ, ভান্ডারে তব বিবিধ রতন তা সবে, (অবোধ আমি) অবহেলা করি, পর ধন লোভে মত্ত করিনু ভ্রমন – মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
  59. হে মহা জীবন, আর এ কাব্য নয়, এবার কঠিন, কঠোর গদ্য আনো – মহাজীবন সুকান্ত ভট্টাচার্য।
  60. হে সূর্য! শীতের সূর্য! হিমশীতল সুদীর্ঘ রাত তোমার প্রতীক্ষায় আমরা থাকি- সুকান্ত ভট্টাচার্য।

Add a Comment