কল্লোল

কল্লোল মূলত একটি সাহিত্য পত্র যা অবিভক্ত ব্রিটিশ ভারতের কলকাতা থেকে প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে (৩৩, ২৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি) । কল্লোল ১৯২৩ থেকে ১৯৩৫ খ্রীস্টাব্দের ভেতরে সংগঠিত প্রভাবশালী বাংলা সাহিত্য বিপ্লবের সমনামিক। কল্লোল নব্য লেখকদের প্রধান মুখপাত্র ছিল যাঁদের অন্যতম ছিলেন প্রেমেন্দ্র মিত্র, কাজী নজরুল ইসলাম, বুদ্ধদেব বসু। সম্পাদক ছিলেন প্রেমেন্দ্র মিত্র (৩৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি) অনান্য সাময়িক পত্রিকা যেগুলো কল্লোল পত্রিকা কে অনুসরণ করে সেগুলো হলো – উত্তরা (১৯২৫), প্রগতি (১৯২৬), কালিকলম (১৯২৬) এবং পূর্বাশা (১৯৩২)।

কল্লোল যুগ
কল্লোল সাহিত্য পত্রের সময়কালকে কল্লোল যুগ হিসাবে অভিহিত করা হয়ে থাকে। কল্লোল পত্রিকাকে কেন্দ্র কলে ১৯২৩ থেকে ১৯৩৫ খ্রীস্টাব্দ কাল পরিধিতে বাংলা সাহিত্যে প্রভাবশালী আন্দোলন সংগঠিত হয়। বাংলা সাহিত্যে আধুনিকতার সূত্রপাতে এই আন্দোলনের ভূমিকাই মুখ্য বলে বিবেচিত।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধোত্তর কালে ১৯৩০-এর দশক কল্লোর যুগের সমার্থক। কবি বুদ্ধদেব বসু এই নবযুগের অন্যতম কাণ্ডারী। যে সময়ে কল্লোলের আবির্ভাব তখন বাঙলা সাহিত্যের দিগন্ত সর্বকোণে কবি রবীন্দ্রনাথের প্রভাবে প্রোজ্জ্বল। কল্লোল যুগের নাবিকদের মূল লক্ষ্য ছিল রবীন্দ্র বৃত্তের বাইরে সাহিত্যের একটি মৃত্তিকাসংলগ্ন জগৎ সৃষ্টি করা।

কবিতার ক্ষেত্রে যাদের নাম কল্লোল যুগের শ্রেষ্ঠ নায়ক বিবেচনায় প্রচারিত তাঁরা হলেন কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত, বুদ্ধদেব বসু, অমিয় চক্রবর্তী, জীবনানন্দ দাশ, বিষ্ণু দে। এঁদের পাঁচজনকে বাংলা সাহিত্যের পঞ্চ পাণ্ডব বলা হয়। তবে কাজী নজরুল ইসলাম, প্রেমেন্দ্র মিত্র, অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত, সঞ্জয় ভট্টাচর্য প্রমুখ অনেকেরই ভূমিকা কোন অংশে খাটো করে দেখবার উপায় নেই।

  • বাংলা ভাষায় যাঁরা আধুনিক কবিতা সৃষ্টি করেছিলেন, তাদের মধ্যে পাঁচজন প্রধান। এই পাঁচজন কবির নাম লিখুন। (৩৮তম বিসিএস লিখিত)

Add a Comment