ছড়ায় ছড়ায় শব্দ উৎস

তৎসম শব্দ
“হস্ত” এ যদি থাকে “শক্তি”
“চন্দ্র” “সূর্য” “নক্ষত্র” করবে “ভক্তি”।
“ভবনের” “পত্র” “ধর্ম”,
“লাভ” “ক্ষতি” “মনুষ্য” “পর্বত” এর “কর্ম”।
“সন্ধায়” করো না “ভোজন” “শয়ন” “গমন”।

অর্ধতৎসম শব্দ
“গিন্নী” “মাগগী” “জ্যোছনা” “কুৎসিত” “গতর” এ “বোষ্টম” এর বাড়ীতে “নেমন্তন” খেতে যান।
“পুরুত” ও “কেষ্ট” “খিদে” পেয়ে “আদা” খান।

তদ্ভব শব্দ
“আখি” “আজ” করেছে “কাজ”,
“মৌ” পরেছে “বিয়ে” র “সাজ”।
“বৌমা” এনেছে “মাছ” “ভাত”।
“মাথা” য় “হাত” ”কান” এ “দাত”,
“চাঁদ” ‘সই” করা “তদ্ভব” এর “কাজ”।

পর্তুগিজ শব্দ
“পর্তুগাল” এর “পাদ্রী” সাহেব “চাবি” দিয়ে “গীর্জা” খুলল, তিনি ১ “বালতি” “আটা” “আনারস” “আলপিন” “পেঁপে” “পেঁয়ারা” “পাউরুটি” “আচার” “সাগু” ও “সালসা” “আলমারি” তে রেখে দিলো।
“বিন্তি” “সাবান” ও “তোয়ালে” নিয়ে “কামরা” য় ঢুকলো। সে ঝর্না ছাড়িয়া তার “কামিজ” এর “বোতাম” ও “ফিতা” খুলিতে লাগলো। এমন সময় “আতা” “জানালা” য় “টোকা” মারিল।
“কেরানী” ও “আয়া” “বারান্দা” র। ”কেদারা” য় বসে ফালতু মস্করা করে একটি গান গাইলো:
স্বামী আর “ইস্তিরি”
“পেরেক” মারে “মিস্ত্রি”।

তুর্কি শব্দ
“বিবি” “বেগম” “কোর্মা” খায়,
“বাবা” “বাহাদুর” দেশ চালায়।
“দারোগা” “বাবু” তাকিয়ে দেখে,
“গালিচা” য় “কুলি” র “লাশ”।
“চাকু” হাতে “বাবুর্চি” তাই দেখে হতবাক।

দেশি শব্দ
এক গঞ্জের কুড়ি ডাগড় টোপর মাথায় দিয়ে চোঙ্গা হাতে পেটের জ্বালায় চুলা কুলা ডাব ও ডিংগা নিয়ে টং এর মাচায় উঠল।
গঞ্জ , কুড়ি, ডাগড়, টোপর, চোঙ্গা,চুলা, কুলা, ডাব, ডিংগা,টং ,মাচা ইত্যাদি।

সংগৃহীত

Add a Comment